ভ্রমণ দর্শনার্থী আকর্ষণে নতুন পর্যটন কেন্দ্র সীতাকুণ্ড বাঁশবাড়িয়া সৈকত
১৬-১২-২০১৭, ১১:৩৩
ভ্রমণ সময় ডেস্ক
কক্সবাজার কিংবা পতেঙ্গা’র মতো সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও দর্শনার্থী আকর্ষণে নতুন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বাঁশবাড়িয়া সৈকত এলাকা। দীর্ঘদিন ধরে লোক-চক্ষুর অন্তরালে থাকা এ স্থানটি ক্রমশ মুখর হয়ে উঠছে। প্রতি দিন বিকেলে শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছেন এ সৈকত এলাকায়।
সাগরের ঢেউ এবং দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ও উচ্ছলতা দেখে মনে হতেই পারে এটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। তবে এটি সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া সৈকত এলাকা। এতদিন পর্যন্ত তেমন পরিচিতি ছিলো না এ সৈকতের। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ সৈকতের নয়নাভিরাম ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর দর্শনার্থীরাও এ সৈকতের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। শুধু স্থানীয় নয়, রাজধানী ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকেও দর্শনার্থী আসছেন।
কক্সবাজার কিংবা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মত সুযোগ-সুবিধা নেই এখানে। ভাঙাচোরা রাস্তা’র পাশাপাশি কাদামাটি। নেই কোনো স্থাপনা কিংবা খাবারের ব্যবস্থা। যে কারণে ঝাউগাছের নিচেই আশ্রয় নিতে হয় সৌন্দর্য পিপাসু দর্শনার্থীদের। সাগরের পানিতে নামার জন্য একটি স্থানীয়ভাবে তৈরি জেটি থাকলেও নানা কারণে উঠতে দিতে চান না ঘাটের ইজারাদার।
বন্ধের দিনগুলোতে ৫ থেকে ১০ হাজারের বেশি দর্শনার্থীর সমাগম হয় এখানে। পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানালেন স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া প্রধান সড়ক থেকে ৩ কিলোমিটার দূরত্ব এ সৈকত এলাকার।
/ফাএ