ভ্রমণ ঘুরে আসুন ঢাকার প্রাসাদ 'রোজ গার্ডেন'
১৩-১১-২০১৭, ১৩:৪০
ভ্রমণ সময় ডেস্ক

ঢাকার মধ্যে যে কয়টি প্রাচীন স্থাপনা আছে তার মধ্যে রোজ গার্ডেনের নাম না বললেই নয়। ঢাকার মধ্যে এত সুন্দর নান্দনিক একটি প্রাসাদ রয়েছে, তা না দেখলে বিশ্বাস করা কষ্ট হবে।
অবস্থান
রোজ গার্ডেনের অবস্থান টিকাটুলির কে এম দাস রোডের শেষ মাথায়। তবে বাড়ির মূল গেটের সামনের অংশটি বিক্রি করে দেওয়ায় একটু ঘুরে পেছনের গেট দিয়ে ঢুকতে হয়, আর সেই অংশটি পড়েছে গোপীবাগের আর কে মিশন রোডে। রোজ গার্ডেন বর্তমানে ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি। তাই দর্শনার্থীরা চাইলেই যখন খুশি দেখতে পারবেনা। ভিতরে ঢুকে দেখতে চাইলে আগে যোগাযোগ করে অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। রোজ গার্ডেন বললে স্থানীয় কেউ বাড়িটি চিনতে পারেনা। তাই ‘হুমায়ূন সাহেবের’ বাড়ি বললেই খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।
রোজ গার্ডেনের অবস্থান টিকাটুলির কে এম দাস রোডের শেষ মাথায়। তবে বাড়ির মূল গেটের সামনের অংশটি বিক্রি করে দেওয়ায় একটু ঘুরে পেছনের গেট দিয়ে ঢুকতে হয়, আর সেই অংশটি পড়েছে গোপীবাগের আর কে মিশন রোডে। রোজ গার্ডেন বর্তমানে ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি। তাই দর্শনার্থীরা চাইলেই যখন খুশি দেখতে পারবেনা। ভিতরে ঢুকে দেখতে চাইলে আগে যোগাযোগ করে অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। রোজ গার্ডেন বললে স্থানীয় কেউ বাড়িটি চিনতে পারেনা। তাই ‘হুমায়ূন সাহেবের’ বাড়ি বললেই খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।
ইতিহাস
নিতান্তই সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা ব্যবসায়ী ঋষিকেশ দাস সমসাময়িক জমিদারদের উপর অনেকটা জেদের বশেই ১৯৩০ সালে তৈরি করেন এই চমৎকার শুভ্র অট্টালিকা। ভবনটির মোট আয়তন সাত হাজার বর্গফুট। উচ্চতায় পঁয়তাল্লিশ ফুট। ছয়টি সুদৃঢ় থামের উপর এই প্রাসাদটি স্থাপিত। প্রতিটি থামে লতাপাতার কারুকাজ করা। ভবন নির্মাণের কিছুদিন পর ঋষিকেশ দাশ দেউলিয়া হয়ে যান। ১৯৩৭ সালে রোজ গার্ডেন বিক্রি হয়ে যায় খান বাহাদুর আবদুর রশীদের কাছে। এর নতুন নামকরণ হয় ‘রশীদ মঞ্জিল’। এই বাড়িটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) গঠনের প্রাথমিক আলোচনা সভা এই বাড়িতে হয়েছিল। ১৯৬৬ সালে কাজী হুমায়ুন বসির এর মালিকানা লাভ করেন।
নিতান্তই সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা ব্যবসায়ী ঋষিকেশ দাস সমসাময়িক জমিদারদের উপর অনেকটা জেদের বশেই ১৯৩০ সালে তৈরি করেন এই চমৎকার শুভ্র অট্টালিকা। ভবনটির মোট আয়তন সাত হাজার বর্গফুট। উচ্চতায় পঁয়তাল্লিশ ফুট। ছয়টি সুদৃঢ় থামের উপর এই প্রাসাদটি স্থাপিত। প্রতিটি থামে লতাপাতার কারুকাজ করা। ভবন নির্মাণের কিছুদিন পর ঋষিকেশ দাশ দেউলিয়া হয়ে যান। ১৯৩৭ সালে রোজ গার্ডেন বিক্রি হয়ে যায় খান বাহাদুর আবদুর রশীদের কাছে। এর নতুন নামকরণ হয় ‘রশীদ মঞ্জিল’। এই বাড়িটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) গঠনের প্রাথমিক আলোচনা সভা এই বাড়িতে হয়েছিল। ১৯৬৬ সালে কাজী হুমায়ুন বসির এর মালিকানা লাভ করেন।
১৯৭০ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘বেঙ্গল স্টুডিও’ কে লীজ দেয়া হয়। এ সময়ে চলচ্চিত্রের শুটিং স্পট হিসাবে এই ভবনটি ব্যবহৃত হয়। এখানে চিত্রায়িত কাহিনী চিত্র ’হারান দিন’ এ রোজ গার্ডেনের সেই সময়কার চিত্র সংরক্ষিত আছে। প্রায় ২২ বিঘা জমির উপর নির্মিত দোতলা এই প্রাসাদের চারদিক ঘিরে ছিলো দেশি বিদেশি গোলাপের চারা। এই গোলাপ বাগানের জন্যই বাগানবাড়িটি সেসময় বিখ্যাত হয়ে ওঠে ‘গোলাপ বাগ’ নামে, যা আমাদের কাছে এখন ‘রোজ গার্ডেন’ নামে পরিচিত। বর্তমানে চারপাশ ঘেরা সেই গোলাপ বাগান না থাকলেও প্রাসাদের সামনে কৃত্রিম ফোয়ারা ও ভাস্কর্যগুলো রয়েছে।
তথ্য ও ছবি: সংগৃহীত