আন্তর্জাতিক সময় করোনায় মৃত্যুর সঙ্গে স্থূলতার যোগসূত্র পাওয়ার দাবি গবেষকদের
০৫-০৩-২০২১, ১২:৪০
রবিউল ইসলাম আওলাদ

করোনায় মৃত্যুর সঙ্গে স্থূলতার একটি যোগসূত্র পাওয়ার দাবি করেছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, যেসব দেশে মানুষের স্থূলতার হার বেশি, কোভিড-১৯ এ মৃত্যুও সেসব দেশে বেশি। ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন বিশ্বে করোনায় মৃত্যু নিয়ে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পেয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
করোনায় আক্রান্তের ও মৃতের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই রয়েছে ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। এমন পরিস্থিতিতে করোনায় মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য দিল ওয়ার্ল্ড ওবিসিটি ফেডারেশন। তারা বলছে, যেসব দেশে পূর্ণবয়স্ক মানুষের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ স্থূল, সেসব দেশে মৃত্যু হার অন্য দেশগুলোর তুলনায় ১০ গুণ বেশি।
কোভিড-১৯ এ বিশ্বে যে ২৫ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, তার ২২ লাখই সেই সব দেশের, যেখানকার মানুষের মধ্যে মেদবহুল হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। গবেষণায় পাওয়া এই তথ্যকে ‘নাটকীয়’ বলছেন গবেষকরা। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় সাড়ে ১১ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৫ লাখ ৬১ হাজার।
এদিকে করোনা ভ্যাকসিনের গবেষণা ও উৎপাদন বাড়াতে জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবার জেরুজালেমে অস্ট্রিয়ীয় চ্যান্সেলর এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, করোনা ভ্যাকসিনের মান উন্নয়নে তিন দেশে অংশগ্রহণে যৌথ তহবিল গঠন করা হবে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘ভ্যাকসিন গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য আমরা এখন থেকে একসঙ্গে কাজ করব। তহবিল গঠন, উৎপাদন সবই হবে যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে। আমি মনে করি, এটি একটি দারুণ উদ্যোগ। আমরা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা রেখে কাজ করে যাব। জনগণের সুরক্ষা স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতেই আমাদের এ উদ্যোগ।’
অন্যদিকে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকার চালান অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি আটকে দিয়েছে ইতালির সরকার। এতে করে ইতালিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি আড়াই লাখ ডোজ করোনা টিকা সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। টিকা সরবরাহকারী কোম্পানি যদি ইইউর প্রতি তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে ব্যর্থ হয় তবে ওই কোম্পানির টিকা রফতানি বন্ধ করা যায় মর্মে ইইউ যে নীতি প্রণয়ন করেছে ইতালি প্রথম দেশ হিসেবে তার প্রয়োগ করল। ইতালির এই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন।