বাণিজ্য সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না রপ্তানি আয়: ইপিবি
০৩-০৩-২০২১, ২২:১৩
কামরুল হাসান সবুজ

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ২৫৮৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আয়ের এই পরিমাণ কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩.৬১ শতাংশ ও গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১.৪৫ শতাংশ কম।
বুধবার (৩ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি। একক মাস হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছে ৩১৯ কোটি ডলারের পণ্য। এই মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪.৮৩ ও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় ৩.৯২ শতাংশ কম।
ইপিবি'র পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতেও পিছিয়ে পড়েছে দেশের রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প। গেল ৮ মাসে এ খাতের আয় হয়েছে ২১০৩ কোটি ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪.৮৭ ও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৭৩ শতাংশ কম। তথ্য বলছে, বাজার হারানোর স্রোতেই ভাসছে ওভেন পোশাক। এসময়ে ওভেন থেকে আয়ের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ১১৮০ কোটি ডলার ধরা হলেও হয়েছে ৯৬৯১ কোটি ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩.৯২ শতাংশ ও আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে ১১.৪৯ শতাংশ কম আয় এসেছে ওভান পোশাক রপ্তানি থেকে। তবে, করোনাকালীন চাহিদা বাড়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয়ের পথেই হাঁটছে নীট পোশাকের রপ্তানি আয়। এসময়ে, নীট পোশাকের রপ্তানি আয় হয়েছে ১১৩৪ কোটি ডলার। যা কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩.৭৮ ও গত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের তুলনায় ৪.০৬ শতাংশ বেশি।
আয়ের নেতিবাচক চক্কর থেকে বের হতে পারেনি চামড়া ও প্লাস্টিক খাতও। গেল ৮ মাসে চামড়া খাতের রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ডলারে। এই আয় কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দশমিক ৬ শতাংশ বেশি হলেও আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪.১৫ শতাংশ কম। আগের অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের তুলনায় ৪.৪৮ শতাংশ কমে প্লাস্টিক খাতের রপ্তানি আয় হয়েছে মাত্র ৭ কোটি ডলার।
এদিকে, ১১ কোটি ১৩ লাখ ডলারের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারলে গেল ৮ মাসে ১০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার আয় এসেছে ওষুধ শিল্প থেকে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৩১ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি আয়ের দিক দিয়ে বেশ ভালো অবস্থানে আছে দেশের পাটখাত। গেল আট মাসে এ খাতের আয় বেড়েছে ২৩.৬৭ শতাংশ। গত জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখাতে আয় হয়েছে ৮৬ কোটি ডলার। যা এসময়ের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি।
হিসাব বলছে, শুকনো খাবারের আয় বেড়েছে ৪৩.৬৭ শতাংশ। ২৫.৮৩ শতাংশ আয় বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের। হিমায়িত মাছ রপ্তানি থেকে আয় বেড়েছে ৪৪.৩৪ শতাংশ।
রপ্তানি বাজার দখলে সম্ভাবনা জাগিয়ে এগিয়ে চলছে বাইসাইকেল। বাইসাইকেল থেকে আয় এসেছে ৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। এই আয় আগের অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের তুলনায় ৪০.৯০ শতাংশ বেশি।