বাংলার সময় বিশেষ পিপি’র আচরণে নাখোশ বিচারক-আইনজীবী
০২-০৩-২০২১, ১২:৩৩
হেদায়েতুল ইসলাম বাবু

গাইবান্ধায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ তুলেছেন একই আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি এবং অপেশাদার আচরণের অভিযোগ তুলেছেন জেলা বারের ৭৮ জন আইনজীবী।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট একেএম মহিবুল হক মোহনের বিরুদ্ধে বারের ৭৮ জন আইনজীবী ১৮ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, একযুগ ধরে বিশেষ পিপি'র পদ দখলে রেখে তিনি বিচার প্রার্থীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একাধিক বাড়ি ও সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২৭ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বিশেষ পিপি মোহনের অসৌজন্যমূলক আচরণে নাখোশ হয়ে জেলা বারের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান উল্লেখ করেন, অশোভন আচরণ ও শারীরিক অঙ্গভঙ্গিতে বিশেষ পিপি মোহন ট্রাইব্যুনালের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার প্রয়াসে লিপ্ত। তিনি এজলাস চলাকালে সামনের সিটে বসে পত্রিকা পাঠে ব্যস্ত থাকেন, মামলার স্বাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণে তার পূর্ব প্রস্ততি থাকে না, ট্রাইব্যুনালের প্রতি নিজের অসীম প্রভাব প্রমাণ করতে এমন আচরণ উল্লেখ করে তার অসৌজন্যমূলক আচরণ শুধু আদালতের বিচারক নয়, পুরো বিচার ব্যবস্থার প্রতি অবমাননা।
ওই বিচারক অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার দীর্ঘ ২৩ বছরের চাকরি জীবনে তিনি এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি।
আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি নিযুক্ত হয়েও অ্যাড. মোহন একই মামলায় আসামি পক্ষেও ওকালতি করেন।