তথ্য প্রযুক্তির সময় নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যানের ফেসবুক লাইভ
০১-০৩-২০২১, ০৩:০১
হাজেরা শিউলি

ক্ষতিকর ওয়েবসাইট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে, ইন্টারনেট ব্যবহারে অভিভাবকদের নজরদারি বাড়াতে হবে। এজন্য ক্ষতিকর সাইট বন্ধ করার প্রযুক্তি, ইন্টারনেট সেবাদানকারীদের কাছ থেকে বুঝে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। আইন অনুযায়ী তারা বিনামূল্যেই এই সেবা দিতে বাধ্য বলে জানান তিনি।
নিত্য দিনের কাজে ইন্টারনেট এখন অপরিহার্য অনুষঙ্গ। চোখের সামনে অনলাইনে খুলে যাচ্ছে অনেক অজানা বিস্ময়। একই সঙ্গে বাড়ছে ঝুঁকি। বিশেষ করে পর্ণসাইট, বিডিং সাইট ও ক্ষতিকর গেইম সাইট ব্যবহারে চরম ঝুঁকিতে আছে শিশুরা। না বুঝেই ইন্টারনেটের অনিরাপদ ব্যবহারের কারণে জড়িয়ে পড়ছে অন্ধকার ফাঁদে।
এসব ঝুঁকি থেকে শিশুদের কিভাবে নিরাপদ রাখা যায় সে বিষয়ে নানা দিক নির্দেশনা নিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। ইন্টারনেটে সংযোগ নেয়ার সময় ক্ষতিকর সাইট ও কনটেন্ট ব্লক করার প্রযুক্তি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইডেন্স বুঝে নিতে আহবান জানান অভিভাবকদের।
এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, বাড়িতে নেট সংযোগ দেওয়ার সময় কীভাবে আপনার ছেলে-মেয়েকে ইন্টারনেট নিরাপত্তা দিতে পারবেন তা জানাতে আইএসপি সার্ভিস প্রোভাইডার বাধ্য।
ইন্টারনেট বা মোবাইলে সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে শিশুরা। বুলিংয়ের শিকার হয়ে কখনো আত্মহত্যাও করে অনেকে। তাই জটিল কোন ডিভাইস শিশুদের না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে সন্তানদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা ও নজরদারি করারও আহবান জানান।
শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ছেলে-মেয়ে অনলাইনে কি করছে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অনলাইনে কিভাবে নিজেদের নিরাপদ রাখতে হবে সে বিষয়ে গাইড করতে হবে।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ৬৪ লাখ। ইউনিসেফের জরিপ অনুসারে ২৫ শতাংশ শিশু ১১ বছর বয়সের আগে ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করছে।