বাংলার সময় আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের বন্ধ রেশম কারখানাটি
২৭-০২-২০২১, ১১:২৪
জিয়াউর রহমান বকুল
দীর্ঘ ১৮ বছর পর ঠাকুরগাঁওয়ের বন্ধ রেশম কারখানাটি ফের পুরোদমে চালু হতে যাচ্ছে। এখন শুধু অপেক্ষা উদ্বোধনের। জেলার আরেকটি ভারী শিল্প চালুর খবরে এ অঞ্চলের মানুষ যেমন খুশি, তেমনি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের।
২০টি পাওয়ার রুম সংস্কারের মাধ্যমে জেলা শহরের গোবিন্দনগড়ে চালু হতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানা। এরই মধ্যে রেশম কারখানা কর্তৃপক্ষ পরীক্ষামূলকভাবে সুতা থেকে রেশমবস্ত্র উৎপাদন শুরু করেছে। কারখানার ভেতরে শ্রমিকের কর্মচাঞ্চল্য আর মেশিনগুলোর খুটখাট শব্দে যেন নতুন রূপ ফিরে পেয়েছে।
নতুন রূপে কারখানাটি চালুর খবরে দূর-দূরান্তের চাষি ও কর্মীরা খোঁজ নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কারখানাটি চালু হওয়ার উদ্যোগে সুতা উৎপাদনের কাঁচামালের জন্য কারখানার ভেতর ও বাইরে বাড়তি যত্ন নেয়া হচ্ছে তুত গাছের।
পুরাতন যন্ত্রাংশগুলো সংস্কারের পর প্রাণ ফিরে পাওয়া কারখানাটি পূর্ণাঙ্গ রূপ নিতে এখন শুধু অপেক্ষা।
পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কারখানাটি চালু হবে বলে জানান ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানার সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী।
তিনি বলেন, এ কারখানা চালু হলে অতীতে যেসব শ্রমিকরা ছিলেন তাদের কর্মসংস্থান হবে এবং নতুনও নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, এরই মধ্যে ২০টির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আমরা আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে এ কারখানাটি চালু হবে। আর ঠাকুরগাঁওবাসীর দাবি পূরণ হবে।
১৯৭৪-৭৫ সালে আরডিআরএস বাংলাদেশের উদ্যোগে স্থাপিত হয় রেশম কারখানাটি। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে তা সরকারীকরণ করার পর ২০০২ সালে তৎকালীন সরকার লোকসানের অজুহাতে বন্ধ ঘোষণা করলে বেকার হয়ে পড়ে এ অঞ্চলের হাজারো শ্রমিক।
১৯৭৪-৭৫ সালে আরডিআরএস বাংলাদেশের উদ্যোগে স্থাপিত হয় রেশম কারখানাটি। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে তা সরকারীকরণ করার পর ২০০২ সালে তৎকালীন সরকার লোকসানের অজুহাতে বন্ধ ঘোষণা করলে বেকার হয়ে পড়ে এ অঞ্চলের হাজারো শ্রমিক।