বাণিজ্য সময় বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিম লাইনারকে জরিমানার খবরে শেয়ারবাজারে দরপতন
২৭-০২-২০২১, ১০:১৬
হরিপদ সাহা

সেভেন এইট সেভেন মডেলের বিমানে উৎপাদন পর্যায়ে ত্রুটি থাকায় বোয়িংকে জরিমানা করেছে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। পাশাপাশি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা এ মডেলের ত্রুটি সারাতে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের মুখে পড়েছে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে জরিমানার খবরে মার্কিন শেয়ারবাজারে বোয়িংয়ের দরপতনও হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংকে তার বিমানের গুণমান ও সুরক্ষা তদরাকির ব্যর্থতার দায়ে ৬৬ লাখ ডলার জরিমানা করেছে অ্যাভিয়েশন খাতের মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিম লাইনার জেট বিমান ত্রুটি নিয়ে কয়েক বছর ধরে চলা বিরোধের নিষ্পত্তিতে এ জরিমানা করা হয়েছে। ত্রুটি হিসেবে পাওয়া যায়, বিমানের ভেতরের অংশের কাঠামোর এক জায়গা সামান্য কুঁচকানো। এই ত্রুটি মাসের পর মাস বা বছরজুড়ে লক্ষ্য করা যায়নি। কেননা স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তাব্যবস্থা যেখানে সুরক্ষা ত্রুটির সব তথ্য উঠে আসে তা এটা খোঁজার উপযুক্ত নয় বলে জানায় একটি সূত্র।
বোয়িং এখন তার পার্কিং এ থাকা এই মডেলের কমপক্ষে ৮৮টি বিমানের ত্রুটি সারাতে প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। যেখানে একেকটি বিমানের ত্রুটি অনুসন্ধান এবং তা সারাতে এক মাসের মতো সময় লাগে। সবমিলিয়ে বোয়িংয়ের লোকসান কয়শ’ মিলিয়ন কিংবা কত বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে তা নির্ভর করছে কতগুলো বিমানে ত্রুটি পাওয়া যায় তার ওপর।
নিরাপত্তা চুক্তি ২০১৫ পরিপালনে ব্যর্থতার দায়ে বোয়িংকে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের জরিমানা করার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সে প্রকাশের পরই পুঁজিবাজারে দিনের শেষভাগে সাড়ে পাচ শতাংশের বেশি দাম পড়ে যায় শেয়ারটির।
এর আগে বোয়িং ২০১৫ সালেও বোয়িং মামালা নিষ্পত্তিতে এক কোটি ২০ লাখ ডলার জরিমানা দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র ইমেইল বার্তায় বলেছেন, জবাবদিহিতার মাধ্যমে তারা সর্বোচ্চ মানের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। তিনি জানান বোয়িংয়ের প্রকৌশলীরা ত্রুটি অনুসন্ধান এবং কোনো রকম ঝুঁকি ছাড়াই জেটগুলো যাতে উড়তে পারে তা নিশ্চিতে কাজ করছেন।
উৎপাদন পর্যায়ের এ ত্রুটির কারণে বোয়িংকে গত বছরের অক্টোবর থেকে তার ৭৮৭ মডেলের বিমান সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে। যদিও করোনা মহামারির থাবায় নগদ অর্থ বা তারল্য সংকটে ভুগছে প্রতিষ্ঠানটি। জ্বালানি সাশ্রয়ী এই মডেলের বিমান অ্যাভিয়েশন খাতে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ১ হাজার ৮৮২টি বিমানের বিক্রয়াদেশ পেয়েছে বোয়িং, যার অর্থমূল্য ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি ডলার।