বাংলার সময় আত্মহত্যার আগেই ধর্ষিত দুই বোন, ৩ বছর পর রহস্য উদঘাটন!
২৬-০২-২০২১, ১৮:২১
রতন সরকার

প্রায় ৩ বছর পর উদঘাটিত হলো দুই খালাতো বোনের আত্মহত্যা রহস্য। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে ঘটনার জন্য দায়ী মেরাজুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে মেরাজুল। ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি থেকে উঠে আসে ত্রি-ভূজ প্রেমের করুণ পরিণতির ঘটনা।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আদালতে দেয়া জবানবন্দি থেকে পিবিআই-এর রংপুরস্থ পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, স্কুল-পড়ুয়া দুই খালাতো বোন লাতুল ও অন্নির সঙ্গে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রতিবেশী যুবক মেরাজুল। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দুইজনের সঙ্গেই শারীরিক মেলামেশা করেন তিনি। কিন্তু এক সময় প্রেমিক মেরাজুলের এই প্রতারণার কথা জানতে পেরে অপমান-লজ্জায় ভুগতে থাকে তারা। তারপর একই দিনে বিষপান করে আত্মহত্যা করে দুই বোন।
২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রংপুর নগরীর শেখপাড়ায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় তৎকালীন রংপুর জেলা পুলিশের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। প্রায় দুই বছর ৬ মাস তদন্ত করার পরও ঘটনার রহস্যভেদ হয়নি। পরে পিবিআইকে মামলাটির তদন্তভার প্রদান করলে পিবিআই-এর রংপুরস্থ পরিদর্শক যোতিন শর্মাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আদালতে দেয়া জবানবন্দি থেকে পিবিআই-এর রংপুরস্থ পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, স্কুল-পড়ুয়া দুই খালাতো বোন লাতুল ও অন্নির সঙ্গে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রতিবেশী যুবক মেরাজুল। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দুইজনের সঙ্গেই শারীরিক মেলামেশা করেন তিনি। কিন্তু এক সময় প্রেমিক মেরাজুলের এই প্রতারণার কথা জানতে পেরে অপমান-লজ্জায় ভুগতে থাকে তারা। তারপর একই দিনে বিষপান করে আত্মহত্যা করে দুই বোন।
২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রংপুর নগরীর শেখপাড়ায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় তৎকালীন রংপুর জেলা পুলিশের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। প্রায় দুই বছর ৬ মাস তদন্ত করার পরও ঘটনার রহস্যভেদ হয়নি। পরে পিবিআইকে মামলাটির তদন্তভার প্রদান করলে পিবিআই-এর রংপুরস্থ পরিদর্শক যোতিন শর্মাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
পিবিআই-এর পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, মাত্র ১৩-১৪ বছর বয়সী দুই খালাতো বোনের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন মূলত মামলার রহস্যের জট খুলে দেয়। কারণ তারা দুইজনই মৃত্যুর আগে ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি জানা যায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনই। তারপর তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ও অনুসন্ধানেই পুরো বিষয়টি খোলসা হয়ে আসে। মামলাটির পুরো তদন্ত এখনও শেষ হয়নি বলে জানান জাকির হোসেন।