বাংলার সময় কাগজ ও কালি কেনার নামে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ
২৬-০১-২০২১, ১৯:২৭
আল মামুন

শিক্ষকদের ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার চালু (ইএফটি) করতে কাগজ ও কালি কেনার নাম করে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার হিসাব রক্ষণ অফিসার মোহাম্মদ আজম আলীর বিরুদ্ধে। ঘুষ গ্রহণের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার দেশের সব পর্যায়ে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনও ডিজিটাল পদ্ধতি করতে ইএফটি অর্থাৎ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইএফটির কাজ সম্পন্ন হলে স্ব স্ব শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ভাতা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরাসরি তাদের হিসাব নম্বরে জমা হবে। প্রত্যেক বিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা কোড নম্বর রয়েছে। বিদ্যালয়ের কোড ওপেন করলেই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম দেখা যায়।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বেশকিছু শিক্ষক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস অনেক শিক্ষকের নামের সঙ্গে বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করেননি। ইএফটি করতে গিয়ে যে শিক্ষকের নামের সঙ্গে বিদ্যালয়ের নাম নেই ওই সকল শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১ হাজার এবং শুধু ইএফটি করার জন্য ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এমনকি তাদের বাধ্য করে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এমন জটিল কাজ না। যে ভাবেই হোক ভুল হয়েছে। বিদ্যালয়ের নাম ওপেন করলেই শিক্ষকের নাম ওপেন হবে। তখন তার নামের সঙ্গে বিদ্যালয়য়ের নাম লিখে দিলে হয়ে গেল। হিসাব রক্ষণ অফিস সেটা করছেন। তবে ওই সংশোধনী বা ইএফটির জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হচ্ছে কিনা তার জানা নাই বলে দাবি করেন তিনি।
তবে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজম আলী ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইএফটি ও বিদ্যালয়ের নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষক সমিতির নেতারা তার কম্পিউটারের জন্য কালি ও এক প্যাকেট কাগজ কিনে দিয়েছেন। তবে তার অফিসের অন্য কেউ চায়ের কোথা বলে কিছু টাকা পয়সা নিতে পারে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেন বলেন, সরকার নির্ধারিত ফ্রি ছাড়া বাড়তি টাকা নেওয়ার সুযোগ নাই। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলাম, খতিয়ে দেখা হবে।