তথ্য প্রযুক্তির সময় মোটরসাইকেলের সিসি সীমা তুলে দেওয়ার সুপারিশ
২৫-০১-২০২১, ১৭:০৮
ওয়েব ডেস্ক

দেশে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনক্ষমতা বা সিসি সীমা তুলে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিসিসি)।
সংস্থাটি বলছে, মোটরসাইকেলের সিসির সঙ্গে গতির কোনো সম্পর্ক নেই। ৩০০ বা ৫০০ সিসির মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ যে গতি তোলা সম্ভব, ১৬৫ সিসি মোটরসাইকেলেও একই গতি তোলা যায়। বিশ্বের কোথাও এমন সিসি সীমা নেই।
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের মোটরসাইকেলশিল্প উন্নয়ন নীতি অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে দেশে ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। কমিশন মনে করে, স্থানীয় মোটরসাইকেল শিল্পের বিকাশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ইঞ্জিনক্ষমতার সীমা তুলে নেওয়া দরকার। সংস্থাটি সম্প্রতি এ প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, কমিশন সিসি সীমা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে বাড়তি সিসির মোটরসাইকেল নিবন্ধনে বাড়তি ফি নির্ধারণ করার সুপারিশ করেছে।
ট্যারিফ কমিশন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে মোটরসাইকেল খাতের দুই সংগঠনের একটি মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। সংগঠনটির আবেদনের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিসি সীমা তোলা নিয়ে ট্যারিফ কমিশনকে প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। দেশে ১৬৫ সিসির ওপরে মোটরসাইকেল আমদানি ও বাজারে ছাড়া নিষিদ্ধ। তবে রানার অটোমোবাইলসকে সরকার ৫০০ সিসির মোটরসাইকেল তৈরি করে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের মোটরসাইকেলশিল্প উন্নয়ন নীতি অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে দেশে ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। কমিশন মনে করে, স্থানীয় মোটরসাইকেলশিল্পের বিকাশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ইঞ্জিনক্ষমতার সীমা তুলে নেওয়া দরকার। তবে স্থানীয় শিল্পের কথা বিবেচনা করে আপাতত ৩৫০ সিসি পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া যায়। তবে তা ৫০০ সিসি করা এবং একপর্যায়ে সীমা তুলে নেওয়া যেতে পারে।