বাণিজ্য সময় ময়দা রফতানিতে রেকর্ড প্রবৃদ্ধির আশা
২৪-০১-২০২১, ১৬:২৭
বাণিজ্য সময় ডেস্ক

আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে ময়দা ও ময়দাজাত পণ্যের চাহিদা। তবে এ চাহিদার সাঙ্গে মিল রেখে বাড়েনি উৎপাদন। গেল বছর আফ্রিকা ও এশিয়ার ৭০টির বেশি দেশে ফসলখেকো পতঙ্গরা হানা দিয়েছে। এতে ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়ে খাদ্য উৎপাদন। অন্যদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এসব কারণে আটা ও ময়দাজাত পণ্যের উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। ময়দার বৈশ্বিক বিপণন মৌসুম শুরু হয় অক্টোবরে। করোনা পরবর্তী সময় হওয়ায় এবারের মৌসুমে ময়দা রফতানিতে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি)।
‘১২ লাখ টন ময়দা আমদানি করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলো’, ধারণা করছে আইজিসি।
আইজিসি বলছে, ‘২০২০-২১ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ময়দা রফতানিতে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।’ ২০১৯-২০ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৪৩ লাখ টন হুইট ইকুইভ্যালেন্ট ময়দা রফতানি হয়েছে।
এবারের মৌসুমে ময়দার বৈশ্বিক রফতানি আগের মৌসুমের তুলনায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৫১ লাখ টনে। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ময়দার বৈশ্বিক রফতানি বাড়তে পারে আট লাখ টন।
এবারের মৌসুমে উজবেকিস্তান, ইরাক, আফগানিস্তান ময়দা আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে দিতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আইজিসি। আর এসব এলাকায় করোনার সময়ে ফসলখেকো পতঙ্গারা ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল। যা নিয়ে বিশ্ব খাদ্য সংস্থ্যা খাদ্য সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। তাই দেশগুলোতে গমের উৎপাদন কোন পর্যায়ে রয়েছে তার উপর নির্ভর করছে রফতানি সক্ষমতা।
অন্যদিকে করোনা মহামরিতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য জটিলতা দেখা দেওয়ায় অভ্যন্তরিণ চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে গোটা বিশ্বে।