বাণিজ্য সময় মহামারিতে গাড়ি বিক্রি করে বাজিমাত
২৪-০১-২০২১, ০৯:৪৮
ঈষিতা ব্রহ্ম
মহামারিতে যেখানে সারাবিশ্বের বড় বড় অনেক কোম্পানির ব্যবসায় লালবাতি জ্বলেছে, সেখানে এক হাজার ২০০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোক্স ওয়াগন। অথচ করোনার মধ্যে বিক্রি তো কমেছেই, ব্যাহত হয়েছে গাড়ি তৈরি কার্যক্রমও।
বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানায়, গত বছর এক হাজার ২২০ কোটি ডলার মুনাফা হয়েছে তাদের।
অথচ মহামারির বছরের প্রথমার্ধেই ১৭০ কোটি ডলার লোকসান হয়েছিল ফোক্স ওয়াগনের। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। চতুর্থ প্রান্তিকে অর্ডার অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়েছে গাড়ি। ২০১৯ সালে মুনাফার তুঙ্গে ছিল জার্মানির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। সে বছর ফোক্স ওয়াগন গাড়ি বিক্রি করেছিল ৩০ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের। মুনাফা হয়েছিল ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। মহামারির বছরেও মুনাফার খবরে শুক্রবার ফ্রাঙ্কফুটে ৬ শতাংশ বেড়েছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দর।
মহামারির কারণে বিশ্বের প্রায় সব গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিক্রি আর উৎপাদনে ধ্স নেমেছিল। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সেমিকন্ডাক্টরের স্বল্পতার কারণে ব্যাহত হচ্ছে গাড়ি তৈরির কাজ। যন্ত্রাংশ সংকটের কারণে নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকেই চীন, উত্তর আমেরিকা আর ইউরোপে গাড়ি তৈরি কমেছে।
অডি ও পোরশের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোক্স ওয়াগন জানায়, ২০২০ সালে শেয়ারবাজারেও ভালো অবস্থান ছিল তাদের।
২০২০ সালে সারাবিশ্বে ৯৩ লাখ গাড়ি সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯ সালের চেয়ে এ সংখ্যা ১৫ শতাংশ কম। এর মধ্যে চীনে বিক্রি কমেছে ৯ শতাংশ, ইউরোপে বিক্রি কমেছে ২০ শতাংশ।
এদিকে ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ৩১ হাজার, যা ২০১৯ সালের চেয়ে ৩ গুণ বেশি। বেড়েছে হাইব্রিড গাড়ির বিক্রিও।
অন্যদিকে, মাত্র ৫ লাখ গাড়ি বিক্রি করে মহামারির বছরেই ৮০ হাজার কোটি ডলার আয় করেছে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরিতে মাইলফলক অর্জন করা টেসলা। ফোক্স ওয়াগনের চেয়ে ৮ গুণ বেশি আয় করেছে টেসলা। এই দেখে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির দিকে আরো গুরুত্ব দিচ্ছে ফোক্স ওয়াগন।