বাংলার সময় ‘সন্তানদের নিয়ে পরের জমিতে থাকতি হবে না’
২৩-০১-২০২১, ১৩:৪৫
জুয়েল মৃধা
‘আমার বাড়ি রুপদিয়া। আমরা পরের ভিটায় থাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমারে জমিসহ ঘর দেছে। আমার সন্তানদের নিয়ে পরের জমিতে থাকতি হবে না। এখন আমি আর ভূমিহীন ঘরহীন না। আমি প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করি। তিনি যেন মানুষের কল্যাণে আরও কাজ করতে পারেন। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ‘মাথা গোঁজার ঠাঁই’পেয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন যশোরের স্বপন শেখ।
এদিকে শাহিনূর বেগম নামে আরেক উপকারভোগী বলেন, ‘আমার জায়গ- জমি ছিল না। পরের বাড়ি কাজকর্ম করতাম ও ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। এখন আমাদের মা জননী হাসিনা জায়গা দিয়েছে, ঘর দিয়েছে আমি তাতে অনেক খুশি। তার জন্য নামাজ পড়ে মোনাজাত করব। আমাদের মতো গরিবদের পাশে যেন সে সারাজীবন থাকতে পারে। আমাদের চোখের পানিটা যেন মুছে যায়। দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী সারা পৃথিবীর কাছে সম্মান পায়।’
আর হাবিল উদ্দীন তো বেজায় খুশি এমন উপহারে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংসারে পাঁচজন লোক। মাঠে ঘাটে কাজ করে খাই। আমার কোনো জমি নেই। প্রধানমন্ত্রী জমি দেছে, ঘর দেছে। এ পেয়ে আমি খুব খুশি। বিনামূল্যে জমি-ঘর পাব কোনোদিন ভাবিনি।’
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) যশোরের ৮টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ৬৬৬টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পর সুবিধাভোগীদের জমির দলিলসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এসব দলিল হস্তান্তর করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদানের উদ্যোগ নেন। তারই অংশ হিসেবে যশোরের ৮ উপজেলায় এক হাজার ৭৩টি পরিবারকে জমিসহ নুতন ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আজ প্রথম ধাপে ৬৬৬টি পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান করা হয়। বাকি ৪০৭ পরিবারকে দ্রুততম সময়ে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রথম পর্যায়ে যশোর সদর উপজেলায় ২৯০টি, ঝিকরগাছায় ১৯টি, চৌগাছায় ২৫টি, মণিরামপুরে ১৯৯টি, অভয়নগরে ৫৭টি, কেশবপুরে ১২টি ও শার্শা উপলোয় ৫০টি জমিসহ ঘর বুঝে পেয়েছেন সুবিধাভোগীরা।