বাংলার সময় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বেনাপোল রেলপথে
২৩-০১-২০২১, ১০:১৮
আজিজুল হক
সড়কপথে শক্ত অবকাঠামো গড়ে উঠলেও এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বেনাপোলের রেলপথে। সংকীর্ণ রেলপথ, আছে ইঞ্জিন সংকটও। চালুর পর গত ২১ বছরেও বন্দরে স্থাপন করা হয়নি কন্টেইনার টার্মিনাল। পণ্য খালাসের জন্য বেনাপোলের কাছে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাড়তি অর্থ গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। এতে দিন দিন কমছে এ পথে বাণিজ্যের আগ্রহ। দুর্বল অবকাঠামোর কথা স্বীকার করে রেলওয়ে বলছে, বাণিজ্য সম্প্রসারণের স্বার্থে পর্যায়ক্রমে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেনাপোল দেশের একমাত্র সড়ক ও রেলপথের বন্দর। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে প্রতিদিন পণ্য আমদানি-রফতানির পাশাপাশি শত শত পাসপোর্ট যাত্রীও এ পথে যাতায়াত করেন। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সড়কপথে অবকাঠামো গড়ে উঠলেও এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি রেলপথে। বন্দরে আনা পণ্য খালাসের জন্য নিতে হয় ৫০ কিলোমিটার দূরে। এতে ব্যবসায়ীদের গুনতে হয় বাড়তি খরচ, সইতে হয় ভোগান্তিও। ফলে এ পথে বাণিজ্যে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা।
সমস্যা সমাধানে বেনাপোল বন্দরে কন্টেইনার টার্মিনাল ও ইয়ার্ড স্থাপনের পাশাপাশি ডাবল রেললাইন চালুর দাবি ব্যবসায়ীদের।
বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্টের সভার মফিজুর রহমান সজন বলেন, স্থাপনার বিষয়গুলো ইমপ্লিমেন্ট হলে ব্যবসা বাড়বে।
ভারতীয় পণ্যবাহী রেল ওয়াগনের পরিচালক উত্তম মল্লিক বলেন, রেল বাড়ানো হলে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য আরও বাড়তে পারে।
তবে বাণিজ্য প্রসারে রেললাইন সম্প্রসারণ, ইয়ার্ড স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগের কথা জানায় রেলওয়ে।
বেনাপোলের স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, এসব কাজের জন্য এর মধ্যেই টেন্ডার হয়ে গেছে। ওয়ার্ক পারমিটও পেয়ে গেছে, দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
১৯৯৯ সালে ভারতের সঙ্গে বেনাপোল রেলপথে আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়। গত ৫ মাসে এ পথে ২ লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে।