বাণিজ্য সময় আকাশপথে যাত্রী কমলেও কদর বেড়েছে কার্গো ফ্লাইটের
১৯-০১-২০২১, ১৫:০১
হাজেরা শিউলি

করোনা মহামারিতে আকাশপথে যাত্রী কমলেও কদর বেড়েছে কার্গো ফ্লাইটের। সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণে আটকা পড়েছে অনেক আমদানি-রপ্তানির চালান। তাই কার্গো ফ্লাইটে তৈরি পোশাক রপ্তানি, চিকিৎসা সামগ্রী ও শিল্পের জরুরি কাঁচামাল পরিবহন বেড়েছে। এতে মুনাফা দেখে দেশি-বিদেশি নতুন ১০টি প্রতিষ্ঠান ও এয়ারলাইন্স কার্গো ফ্লাইট ও হেলিকপ্টার চালাতে সিভিল এভিয়েশনে আবেদন করেছে। এতে পরিবহন খরচ কমার আশা ব্যবসায়ীদের।
করোনা দুর্যোগে এখনও সব দেশের আকাশপথ উন্মুক্ত হয়নি। ফলে বহরে থাকা উড়োজাহাজ অলস বসে থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণ, ঋণের কিস্তি ও লিজের খরচ বাবদ বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলোর। যাত্রী চলাচল সীমিত হলেও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানি থেমে নেই।
করোনাকালে যাত্রীবাহী ফ্লাইট কম চলায় কার্গো ফ্লাইটে পণ্য পরিবহনে চাহিদা বেড়েছে। সুযোগ বুঝে কার্গো অপারেটররা বাড়িয়ে দিয়েছে ভাড়া। এদিকে হেলিকপ্টারে রোগী পরিবহন ও বাণিজ্যিক ভ্রমণ বেড়েছে। চাহিদা বাড়ায় ৬টি দেশি প্রতিষ্ঠান ও চারটি বিদেশি এয়ারলাইন্স কার্গো ফ্লাইট ও হেলিকপ্টার চালানোর অনুমতি চেয়ে সিভিল এভিয়েশনে আবেদন করেছে।
করোনাকালে যাত্রীবাহী ফ্লাইট কম চলায় কার্গো ফ্লাইটে পণ্য পরিবহনে চাহিদা বেড়েছে। সুযোগ বুঝে কার্গো অপারেটররা বাড়িয়ে দিয়েছে ভাড়া। এদিকে হেলিকপ্টারে রোগী পরিবহন ও বাণিজ্যিক ভ্রমণ বেড়েছে। চাহিদা বাড়ায় ৬টি দেশি প্রতিষ্ঠান ও চারটি বিদেশি এয়ারলাইন্স কার্গো ফ্লাইট ও হেলিকপ্টার চালানোর অনুমতি চেয়ে সিভিল এভিয়েশনে আবেদন করেছে।
সিভিল এভিয়েশনের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের সদস্য, গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবির বলেন, বেশ কিছু কার্গো এয়ারলাইন্স ও হেলিকপ্টার নতুন করে আসতে চাচ্ছে। কার্গো সেক্টরে আমাদের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১০ শতাংশ। পোশাক শিল্পের জন্য প্রচুর কাঁচামালের চাহিদা রয়েছে দেশে। এছাড়া বিভিন্ন শিল্প উন্নয়ন হচ্ছে। বাজার আছে বলেই তারা এ ব্যবসায় আসতে চাচ্ছেন।
এদিকে, বহরে থাকা উড়োজাহাজ কাজে লাগাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হংকং ও গুয়াংজুতে সপ্তাহে নিয়মিত ছয়টি কার্গো ফ্লাইট চালাচ্ছে। এতে ভালো লাভ হচ্ছে বলে জানান বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন।
এদিকে, বহরে থাকা উড়োজাহাজ কাজে লাগাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হংকং ও গুয়াংজুতে সপ্তাহে নিয়মিত ছয়টি কার্গো ফ্লাইট চালাচ্ছে। এতে ভালো লাভ হচ্ছে বলে জানান বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন।
মোকাব্বির হোসেন বলেন, কার্গো অবশ্যই লাভজনক। যখন যাত্রী পরিবহন করা হয় তখন ফ্লাইটে তোলার পর তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিতে অনেক খরচ লাগে। আর কার্গো ফ্লাইটে একবার পণ্য উড়োজাহাজে তোলার পর গন্তব্য স্থানে অবতরণ পর্যন্ত আর কোন সেবার দরকার হয় না। ফ্লাইট বাড়লে আমাদের আয়ও বাড়ে।
যাত্রীবাহী ফ্লাইট কম হওয়ায় এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে কার্গো এয়ারলাইন্সগুলো। তবে বেশি এয়ারলাইন্স আসলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
যাত্রীবাহী ফ্লাইট কম হওয়ায় এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে কার্গো এয়ারলাইন্সগুলো। তবে বেশি এয়ারলাইন্স আসলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্লাইট ফরওয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির আহমেদ বলেন, লস অ্যাঞ্জেলসে যেখানে আমরা প্রতি কেজি মাল পাঠাতাম ৩ ডলারে সেখানে করোনাকালীনে ৪ ডলার থেকে সবোর্চ্চ ১০ ডলার পর্যন্ত ভাড়া বেড়েছে। আজকে যদি আমাদের এখানে অনেকগুলো এয়ারলাইন্সের কার্গো ফ্লাইট চলতো তাহলে এই মনোপলি ব্যবসা থাকত না।
যদি বেশি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে আসে তাহলে উৎপাদন খরচ যেমন কমবে, তেমনি কম খরচে পণ্য রপ্তানি করা যাবে বলেও জানান তিনি।
গত ২০২০ সালে ২৫ হাজার ফ্লাইট মোট ২ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন পণ্য পরিবহন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ২৯টি যাত্রীবাহী ও ১১টি কার্গোসহ মোট ৩৯টি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করছে। নতুন করে ফ্লাইট চালাতে আবেদন করেছে আরও ১৯টি এয়ারলাইন্স।