খেলার সময় ঘুরে ফিরে পুরনোদের কাছেই যাচ্ছে পদক
১৯-০১-২০২১, ০৪:৪২
এস এম ইকবাল

প্রতিবছর নিয়মিতভাবে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হলেও বেরিয়ে আসছে না চমক দেখানো কোনো অ্যাথলেট। ঘুরে ফিরে পদক জিতছেন পুরনোরাই! তারাই আবার আন্তর্জাতিক আসরে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছেন। ফেডারেশন বলছে পুরনোদের দিয়ে বিশ্ব মঞ্চে আর ভালো করা সম্ভব না, খোঁজ করা হচ্ছে নতুনের। তবে অ্যাথলেটদের দাবি, স্পোর্টস সাইন্সের চর্চা না থাকায় উন্নতি করতে পারছেন না তারা।
শিরিন আর জহিরের এই উদযাপন জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের নিয়মিত চিত্র। ইভেন্ট ভেদে তাদের মাঝে চলে আসেন ইসমাইল। ঘুরে ফিরে তারাই নিয়ে যান সোনালী পদক। কিন্তু আন্তর্জাতিক ইভেন্টে এই পদকের খোঁজে গিয়ে তারা ব্যর্থ হন বারংবার।
অ্যাথলেটদের দীর্ঘ দিনের অজুহাত হ্যান্ড টাইমিং। সেখানেই যে বছরের পর বছর রেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন তারা তা নয়। একই সঙ্গে টাইমিংয়ের ক্ষেত্রে চোখে পড়েনি উন্নতির গ্রাফটাও। এবার তাদের ফাইন্ডিংস দেশে স্পোর্টস সাইন্স মেনে অনুশীলনের চর্চা না থাকা।
দ্রুততম মানবী শিরিন আকতারও কথা বললেন একই সুরে। বলেন, টাইমিং খারাপ হচ্ছে না। প্রতিনিয়তই উন্নতি হচ্ছে। তবে আরও ভালো কিছু করতে গেলে পরিচর্যাটাও ভালো করতে হবে, সেক্ষেত্রে ভালো করা সম্ভব। তবে নিজের প্রতিভা বের করতে হলে সাইন্সকে কাজে লাগাতে বললেন এই অ্যাথলেট।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার আগ্রহ জানিয়ে জহির রায়হান বলেন, কে আমার সাথে দৌঁড়াচ্ছেন সেটা আমি খেয়াল করি না। আমি আমার সময়ের সাথে প্রতিযোগিতা করি। আমার টার্গেট আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা।
ইভেন্ট আয়োজনের দিক থেকে বাহবা পেতেই পারে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। কিন্তু তাদের এই দায়সারা কাজ প্রভাব ফেলতে পারে না আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তবে, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টুর দাবি কাজ হচ্ছে তৃণমূলে, নতুনদের নিয়ে আসা হচ্ছে। ফল পাওয়া যাবে বছর দুয়েকের মধ্যে।
এ কথাতেই বা ভরসা কিসে? কারণ জুনিয়র মিটেও চোখে পড়েনি এক্সট্রা অর্ডিনারি কেউ। প্রতিভা পেলেও সঠিক পরিচর্যার বিষয়টা না হয় বাদই থাক।