বাণিজ্য সময় জাপানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে বার-রেস্তোরাঁ
১৮-০১-২০২১, ০৭:২৯
কামরুল হাসান সবুজ

জাপানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে খোলা থাকছে অনেক পানশালা ও রেস্তোরাঁ। রাত ৮টার পরও ক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরব থাকছে এসব প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা থাকলেও বার-রেস্তোরাঁ খোলা রাখার পক্ষে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা।
করোনাকালীন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বেশ সরব জাপানের বার-রেস্তোরাঁ ও এর আশপাশের সড়কগুলো।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ রোধে জরুরি অব্স্থাকালীন টোকিওবাসীকে রাত ৮টার পর ঘরের বাইরে না থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে কড়া লকডাউনে যায়নি জাপান সরকার।
যদিও প্রশাসনিক ও নিয়ন্ত্রক সংস্কারের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী বলেছেন, সরকার এই অবস্থান থেকে সরে আসতে আইনটির সংশোধন করেছে। কড়াকড়ির দিকেই যেতে চায় তারা।
রাতের টোকিওতে দেখা যায়, বেশির ভাগ রেস্তোরাঁ ও পানশালার দরজা বন্ধ কিন্তু ভেতরে লোকের উচ্ছল উপস্থিতি। যারা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করেই এসেছেন রাতের খাবার খেতে ও বিনোদন নিতে।
৩০ বছর বয়সী ইয়ুকু হামাজোনো বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘরের বাইরে এসেছেন। আমার মতো অনেকেই আছেন যারা রাত ৮টার আগে রাতের খাবার খান না। আবার অনেকেই মনে করেন বাড়িতে রান্না করার চেয়ে বাইরে কিনে খাওয়াই তাদের জন্য সাশ্রয়ী।
কাজ শেষে কর্মস্থল থেকে তড়িঘড়ি করে বাড়ি ফিরছেন জাপানি যুবক হাশিমতো। তার মতে একদিকে জীবিকা আর আরেক দিকে সরকারের নির্দেশনা। কঠিন এক পরিস্থিতিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, আমি মনে করি জনগণের উচিত সরকারের নির্দেশনা মানা। কিন্তু বারের মালিকরা তাদের ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। আমি বুঝি তারা কেন এটা খুলে রাখছেন। সতিই এটার সমাধান খুবই কঠিন।
পানশালা জাপানি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি আলোচনার কেন্দ্র। এমনটাই মনে করে দিলেন ৪৮ বছর বয়সী মতোকি মরি, যিনি একটি বারের অংশীদার। তিনি বলেন, আসলে পানশালায় আমরা একই সঙ্গে খাবার খেতে পারি ও ব্যবসা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি। ব্যবসা সচল রাখতে এটা খুবই জরুরি ও কার্যকর একটা উপায়।
সুরনেম তানুয়ো যিনি তার বার বন্ধ করেছেন নির্দেশনা মতোই। তার মতে বারে আসার ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতাদেরই সচেতন থাকতে হবে।
তানুয়ো বলেন, যেসব বার রাত ৮টার পরও খোলা থাকছে; দেখার বিষয় ওই সব বার স্বাস্থ্যবিধি মানছে কি না। তারা যদি তা মানে তাহলে বাকি দায় ক্রেতাদেরই নিতে হবে।
তানুয়ো বলেন, যেসব বার রাত ৮টার পরও খোলা থাকছে; দেখার বিষয় ওই সব বার স্বাস্থ্যবিধি মানছে কি না। তারা যদি তা মানে তাহলে বাকি দায় ক্রেতাদেরই নিতে হবে।
জাপান সরকার অবশ্য বার-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার জন্য প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছেন কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয় বলছেন এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা। এমনকি বন্ধ রাখলে তারা তাদের নিয়মিত ক্রেতাদের বড় একটি অংশ হারাবেন এমন শঙ্কাও রয়েছে তাদের