মহানগর সময় ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে ‘অপপ্রচার’
১৫-০১-২০২১, ২১:৫৪
মহানগর সময় ডেস্ক

বহুল প্রতীক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার আগমুহূর্তে শুরু হয়েছে দাম নিয়ে অপপ্রচার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, চুক্তি অনুযায়ী ভারতের চেয়ে দাম এক পয়সাও বেশি পড়বে না। তবে সরকারিভাবে বিনামূল্যেই জনগণকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এদিকে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আমদানিতে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে নিয়ম মেনেই দাম ঠিক করবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
দেশে করোনার ভ্যাকসিন আসতে বাকি এক সপ্তাহেরও কম সময়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী, চলতি মাসের ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন হাতে পাবে বাংলাদেশ। তবে ভ্যাকসিন আসার আগেই বিভিন্ন মাধ্যমে শুরু হয়েছে এর দাম নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন কিনতে ভারতের চেয়ে এক পয়সা দামও বেশি দেবে না বাংলাদেশ। তবে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন আমদানি, সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য ১ ডলার করে পাবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভারত সরকারের কাছে বেশি দামে বিক্রি করলেও আমাদের কাছে কম দামে সিরাম বিক্রি করবে। আমাদেরকে কন্ট্রাকচুয়াল প্রাইসে দেবে।’
এদিকে, আগামী সপ্তাহেই বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আমদানির অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে দাম নির্ধারণের বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকারি সেক্টরের সব নিয়ম-কানুন মেনেই আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে আসব। বেসরকারি সেক্টরে কেউ যদি আনতে চায় সব নিয়ম কানুন মেনে, আমরা মনে করি যে যাদের সামর্থ্য আছে তারা নিজেরাই কিনে যদি ভ্যাকসিন নিতে পারে তাহলে ভালো হবে। সেক্ষেত্রে ড্রাগ অ্যাডমিনেস্ট্রেশন এটার মূল্য নির্ধারণ করে দেবে।
তবে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাছাকাছি সময়ে ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সরকারি পর্যায় বিনামূল্যে দেওয়া সম্ভব হলেও বেসরকারি পর্যায়ে সব দেশেই দাম কিছুটা বেশি পড়ে।
আরও সহজলভ্য করতে অন্য দেশের সঙ্গেও ভ্যাকসিনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ তাদের।