মহানগর সময় বাবা-মাকে এক করল তিন মাসের ছোট্ট কাইফা
১৪-০১-২০২১, ১৫:০৯
আফজাল হোসেন

বাবা-মাকে এক হওয়ার সুযোগ করে দিল তিন মাসের ছোট্ট কাইফা। কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া শিশুটির মা-বাবা ভালবেসে বিয়ে করলেও রাজি ছিল না পরিবার। আর তাই বাবার বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার্থী মাকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা ঠুকে দেয়া হয়।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে চাঁদপুরে ভালোবেসে মেহজাবিনকে বিয়ে করেন একই এলাকার কামাল মজুমদার। বাধ সাধেন মেয়ের মা। মেহজাবিন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কামালের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করা হয়। মামলার পর গ্রেফতার করা হয় দুজনকেই। কামালের ঠাঁই হয় কারাগারে, মেহজাবিনকে রাখা হয় টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে।
সেখানেই মেহজাবিনের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে কন্যা কাইফা। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) মাসহ তিন মাসের কাইফাকে উচ্চ আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত এসএসসি পরীক্ষার্থী মেহজাবিনের কাছে জানতে চান তিনি স্বামীর বাড়িতে থাকবেন না বাবার বাড়িতে। স্বামীর কাছে থাকতে চাইলে অনুমতি দেন আদালত।
কামাল মজুমদারের আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন বলেন, তিন মাস আগে শিশুটির জন্ম হয়। আদালত শুনানি শেষে শিশুসহ ভিকটিমকে তার স্বামীর কাছে দেয়ার জন্য কচুয়া নারী ও দমন ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দেন।
মেয়ের বদৌলতে এক সাথে থাকার সুযোগ পেয়ে খুশি তার বাবা-মা।
কাইফার মা বলেন, এ ধরনের ঘটনা কারো সাথে যেন না ঘটে। ভালোবাসাকে বড় করে দেখা উচিত।
কামাল মজুমদার বলেন, আমি মামলায় ৫ মাস ১৭ দিন জেল খেটেছি। মেহজাবীন আট মাস শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ছিল।
যদিও বাবা কামালের বিরুদ্ধে বউকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।