পশ্চিমবঙ্গ সহযোদ্ধা যখন শত্রু: মুখোমুখি মমতা-শুভেন্দু
২৫-১২-২০২০, ১৭:২৯
সুব্রত আচার্য

একসময়ের অন্যতম সহযোদ্ধা, তৃণমূলের সাবেক নেতা, শুভেন্দু অধিকারী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ২০২১ এ হেরে গিয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান পাবেন তৃণমূল নেত্রী। তবে মমতাও থেমে থাকেননি। দলত্যাগীদের ‘মীরজাফর’ বলে রাজ্যজুড়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে তার বিরুদ্ধে ৭ জানুয়ারি সভার ডাক দিয়েছেন নন্দীগ্রামে।
মাত্র ৪ বছরের ব্যবধানে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার ভোটে বিজেপির ভোট বেড়ে যায় ৩৯ শতাংশ। এ অবস্থায় ২০২১ সালে পাশা উল্টে ১০ বছরের তৃণমূল সরকারের পতন হয়ে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসবে কি না, এটিও এখন ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৯৪। ২০১৬ সালে শেষ বিধানসভা ভোটে বিজেপি মাত্র ৩টি আসন পেয়েছিল আর তৃণমূলের ঝুলিতে ছিল ২১১ আসন। ২০১৬ সালে রাজ্যে মোট ভোটের হিসেবে মাত্র ১১ শতাংশ ভোট পায় বিজেপি সেখানে তৃণমূল পায় ৪৫ শতাংশ।
প্রধান দুই শিবিরের মধ্যে এই ইস্যুতেই চলছে তীব্র রাজনৈতিক লড়াই। যার চূড়ান্ত দৃশ্য দেখা গেল মমতা-শুভেন্দুর পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের একসময়ের সহযোদ্ধা শুভেন্দু এখন মমতার অন্যতম রাজনৈতিক শত্রু।
তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাকে বাদ দিয়ে পৃথিবী চলে না। কাজেই যারা অপমান করেছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। আর যদি ক্ষমা না চায়, আমি বাংলার বুদ্ধিজীবীদের আহ্বান করব, অমর্ত্য দা’র পাশে দাঁড়িয়ে এ বয়সে তাকে এ অসম্মানের হাত থেকে বাঁচান। আপনারা সবাই মিলে প্রতিবাদ করুক। বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধছে বিশ্বাসঘাতক মীরজাফরের বংশধররা। তারা রাজ্যের রাজনীতিকে কলুষিত করছে। বাংলার সম্মানীত জ্ঞানীগুণীদের অসম্মান করছে। জনগণকে বলব, তাদের বর্জন করুন।
সদ্য তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শুধু বিজেপির নেতাকর্মীরা নন, রাজ্যের সব সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সীমাহীন নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানাতে। সাধারণ মানুষ যেভাবে বেরিয়ে এসেছে, তাতে আমি সুনিশ্চিত আমার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না।
শুভেন্দুকে সামনে রেখেই ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসতে চায় বিজেপি। তবে মমতাও শক্তহাতে এর মোকাবিলা করে তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হতে মরিয়া।