পশ্চিমবঙ্গ ১৮ দিনেও সুরাহা হয়নি কৃষক আন্দোলন, ডিআইজি’র পদত্যাগ
১৪-১২-২০২০, ১৬:৩১
সুব্রত আচার্য

টানা ১৮ দিনের আন্দোলনে কোনও পক্ষ-ই সুর নরম করেনি। ফলে, ভারতের চলমান কৃষক আন্দোলন দেশটিতে বড় প্রভাব ফেলেছে। আন্দোলনরত কৃষকরা তিনটি বিল বাতিলের এক দফা দাবি সামনে রেখে সোমবার অনশনে বসেন।
ভারতের রাজধানী দিল্লি যেন ট্রাক্টর, গরু, ভ্যান ও কৃষকদের শহরে পরিণত হয়েছে। বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ১৮ দিন ধরে দিল্লির তিনটি প্রবেশ পথের সামনে অবস্থান করছেন প্রায় আড়াই লাখ কৃষক। আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার অনশনে বসেন তারা।
বিজেপির চালিকা শক্তি সংঘ পরিবারের নথিভুক্ত কৃষক সংগঠন স্বদেশী জাগরণ মঞ্চও কৃষক আন্দোলনে সামিল হয়েছে। আন্দোলনের নাম লিখিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এছাড়া, চলমান আন্দোলে সমর্থন জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন পাঞ্জাবের এক ডিআইজি প্রিজন।
সেপ্টেম্বরের কৃষক সংগঠনগুলোর আপত্তি উপেক্ষা করে মোদি সরকার কৃষি বিলের সংশোধনী এনে তা পাস করে। ওই সংশোধনীতে অত্যাবশ্যকীয় কৃষি পণ্য থেকে বাদ পড়ে চাল-ডাল-গম-আলুসহ বেশ কিছু কৃষিজাত পণ্য। এতেই বেঁকে বসেন কৃষকরা।
প্রতিবাদে ২৬ নভেম্বর ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকরা। পরে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখান্ড, রাজস্থানের কৃষকরাও এ আন্দোলনে যোগ দেন। গেল ৮ ডিসেম্বর দেশজুড়ে হরতাল পালনও করেন। এতে ব্যাপক সমর্থন পান আন্দোলনরত কৃষকরা। মোদী সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নরেন্দ্র সিং তোমার-রা বহুবার চেষ্টা করেও কৃষক আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হন।