খেলার সময় পারলো না বাংলাদেশ
০৫-১২-২০২০, ০০:২৫
খেলার সময় ডেস্ক

কাতারের সামনে চীনের প্রাচীর তুলতে পারলো না বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। তাদের অসহায় আত্মসমর্পনেই শেষ হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচটি। আর একক আধিপত্য বিস্তার করে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা ম্যাচ জিতেছে ৫-০ ব্যবধানে। কাতারের হয়ে জোড়া গোল করেছেন আকরাম আফিফ ও আল ময়েজ। এই হারে ই গ্রুপে সবার নিচে অবস্থান বাংলাদেশের। আর শীর্ষে আছে কাতার।
ওরা এশিয়ার সেরা। ওদের চেয়ে যোজন-যোজন পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবুও হারের আগে হেরে যাওয়া নয়। মনোবল রাখতে হবে চাঙ্গা, কোচের দেয়া এই টোটকায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মরুর বুকে সবুজ সঞ্চারের চেষ্টায় ওরা এগারো।
তবে নিজেদের জাত চেনাতে সময় নেয়নি কাতার। ম্যাচের শুরু থেকেই তটস্থ রাখে জেমির ডিফেন্ডারদের। কখনো উইং দিয়ে আবার কখনো পজিশন রোটেট করে। তাতে ৪ মিনিটেই সুযোগ পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। যদিও আহমেদ আলার সেই হেড বাধা পায় গোল পোস্টে।
ম্যাচে একক আধিপত্য বিস্তার করা কাতার লিড পায় ম্যাচের ৯ মিনিটে। ডি বক্স থেকে নেয়া হাতিমের শট ডিফেন্ডারদের গায়ে ডিফ্লেক্ট হয়ে খুঁজে নেয় জালের ঠিকানা। তবুও গোলের নেশা থামে না ওদের। কখনো আফিফ, আবার কখনো হাইদুসে দিশেহারা হয়ে পড়ে তপু-বিশ্বনাথরা।
লাল-সবুজের এগারোয় এদিন দেখা মিলেছে কেবল এক জনেরই। সেটা মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচেই মাঠে নামা আনিসুর রহমান জিকো। প্রতিপক্ষের একেকটা শেলের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করে গেছেন এই গোলকিপার। তারপরও ৩৩ মিনিটে হার মানতেই হয়েছে। কেননা আকরাম আফিফের অমন বিশ্বমানের শট ফেরানোর সাধ্য কার!
আব্দুল্লাহ বিন খলিফায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যায় ম্যাচ। কিন্তু বদলায়নি দৃশ্যপট। অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে পরিবর্তন আনেন জেমি। তাতেও কাজের কাজ হয়নি। তবে এটা বলা যায় অবলীলায়, কাতার এদিন অসহায় ছিলো জিকোর ধাঁধাঁয়।
এই ম্যাচে ডিফেন্ডারদের দিকেই তাকিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। তথাপি কাতার যখন পোস্টে ৩০টিরও বেশি শট নেয়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে ওদের সক্ষমতা নিয়ে। তারওপর ডি বক্সে ফাউল করাটা ছিলো বিলাসিতা। ৭০ মিনিটে সেই সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে মোটেও ভুল করেননি আল ময়েজ।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই খেলায় কাতারের অর্ধে একবারও বল নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এই তথ্যই বলে দেয় গোটা ম্যাচের চিত্র। শেষ দিকে আকরাম আফিফ, আর তার আগে আল ময়েজ ব্যবধানটা নিয়ে গেছেন ৫-০তে। যার মধ্য দিয়ে মরুর দেশে ড্রয়ের স্বপ্নটা ভাঙ্গে হারের তিক্ততায়!