মহানগর সময় ‘রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর সরকারের সাফল্য’
০৪-১২-২০২০, ১৪:৫০
সময় নিউজ প্রতিবেদক
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরকে সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ঘিরে পশ্চিমা বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক খেলা বন্ধের পাশাপাশি, গতি আসবে মিয়ানমারে স্থায়ী প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায়। অন্যদিকে, অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা রুখে দিতে বিদেশি গণমাধ্যমের প্রপাগান্ডা বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে এখনই।
নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ। আগুন, তাণ্ডব, হত্যালীলা। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর স্বজাতি নির্মূলের এই তাণ্ডবলীলায় বাংলাদেশ সীমান্তে ২০১৭ সালের আগস্টে ঢল নামে রোহিঙ্গাদের। মানবিকতার সর্বোচ্চ প্রমাণ দিয়ে কক্সবাজার ও উখিয়াতে বাস্তুচ্যুত, নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ সরকার। যা আন্তর্জাতিক বিশ্বে কুড়ায় অভূতপূর্ব সাফল্যে।
দফায় দফায় আলোচনা, প্রত্যাবাসন চুক্তির পরও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক নানা কূটকৌশলে তিন বছরেও একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ। অন্যদিকে খাবার, আবাসন, নিরাপত্তা, কর্মসংস্থানসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
সব বাধা পেরিয়ে ভাসানচরে রোহিঙ্গারা যেতে রাজি হওয়ায় পুরো বিষয়টিকে সরকারের অনেক বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, তাদেরকে তো গোপনে নেয়া হচ্ছে না। রাতে বেলায়ও নেয়া হচ্ছে না। সুতারং রোহিঙ্গা স্ব ইচ্ছায় যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্পদায়ের বিরোধীতাকে রোহিঙ্গা সমস্যা জিইয়ে রাখার অপচেষ্টা উল্লেখ করে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে চীনকে পাশে পেতে বাংলাদেশকে আরো উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ তাদের। পাশাপাশি এগিয়ে থাকতে হবে তথ্য যুদ্ধেও।
মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, রোহিঙ্গারা এ রকম নিরাপদ জায়গা যায়। তাহলে পশ্চিমা বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ ও খেলা বন্ধ হয়ে যাবে। আমার মনে তাহলে সে সময়ে চীন এগিয়ে আসবে।
২০১৭ সালে ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। এই সংখ্যা বর্তমানের ১২ লাখ ছাড়িয়েছে।