খেলার সময় বাংলাদেশের কঠিন পরীক্ষা নেবে কাতার
০৪-১২-২০২০, ০২:৩৪
এস এম ইকবাল

কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে স্ট্রাইকারদের গোল করার পাশাপাশি মনোযোগ দিতে হবে মিডফিল্ড ব্লকিংয়েও। এছাড়াও যে সুযোগগুলো তৈরি হবে তা কোনভাবেই নষ্ট করা যাবে না। এমনটাই মত দেশের সাবেক স্ট্রাইকারদের।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ম্যাচ কঠিন হবে, তারপরও ভুল কম করলে খেলা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
ডিফেন্ডারদের মনোবল ভাঙা, এরপর সেই সুযোগ নিয়ে স্কোর করা। ফুটবল মাঠে এটাই স্ট্রাইকারদের প্রধান কাজ। তবে ম্যাচের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বদলাতে হয় কৌশল। প্রতিপক্ষের ডি বক্স ছেড়ে ব্লকিংয়ের জন্য চলে আসতে হয় নিজ অর্ধে! কাতারের বিপক্ষে ম্যাচে হয়তো এটাই হবে জীবন, সুফিলদের প্রধান কাজ।
দলটা যখন এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন, তাই বিকল্প ভাবনা রাখতেই হয়। কারণ হাইদস, আলময়েজ আলী আর আকরাম আফিদের নিয়ে দারুণ একটা স্ট্রাইকার জোন আছে কাতারের। বিপরীতে বাংলার ফরোয়ার্ডরা গোলবারের সামনে বড্ড নড়বড়ে। সহজ সুযোগ তাদের কাছে নষ্ট হয় অবলীলায়। কিন্তু এই সমস্যার এবার সমাধান না করে উপায় নেই।
বাংলাদেশের সাবেক স্ট্রাইকার আলফাজ আহমেদ বলেন, আগে আমাদের দলে একজন করে স্ট্রাইকার খেললেও এখন দুজন খেলছে।
সময়ের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড এখন নাবীব নেওয়াজ জীবন। ম্যাচের হিসেবও তাই বলে। ২৯ খেলায় তার গোল আছে ৫টি। জেমির এক স্ট্রাইকার পলিসির কারণে পুরো সময় ম্যাচ খেলতে না পারা সুফিল ১৮ ম্যাচে তিন গোল করে আছেন এর পরই। লাল-সবুজদের আস্থাটা ঘুরপাক খায় ওদের ঘিরেই।
আলফাজ আহমেদ আরও বলেন, জীবন এখন মোটামুটি অভিজ্ঞ। সে এখন আস্তে আস্তে গোল করছে।
কাতার বাংলাদেশের কঠিন পরীক্ষা নেবে। তবে ম্যাচে জামালরা যেন, হারের আগেই হেরে না বসে। মনোবল শক্ত রেখে চোয়ালবদ্ধ চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলে ম্যাচটা নিশ্চয়ই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।