ভ্রমণ স্বরূপে ফিরেছে সাজেক ভ্যালি

সাজেক ভ্যালীর সুউচ্চ কংলাকের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আশপাশের মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ানো পাহাড়ের ছবি আঁকছেন চিত্র শিল্পী কাওসার। এখানে আসলে আবেগ ধরে রাখা কঠিন। সে প্রকৃতি প্রেমী হোক কিংবা নাই হোক। তাকে সাজেকের প্রেমে পড়তেই হবে।

এ বিষয়ে কাওসার হোসাইন বলেন, আমরা যদি সাজেকের মত পর্যটন স্থানের দৃশ্য ছবির মাধ্যমে তুলে ধরি তাহলে বিশ্বের কাছে আমাদের সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের সৌন্দর্য প্রকাশ পাবে। 

এক দশক আগে থেকে এখানে পর্যটকদের আসা শুরু হয়। সাজেক ভ্যালির অবস্থান রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় হলেও পর্যটকদের আসতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। করোনা সংক্রমণের কারণে এবার সাজেক ভ্যালিতে পর্যটক আসা নিয়ে যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছিলো তা অনেকটা কেটে গেছে। প্রতিদিনই শত শত পর্যটকবাহী গাড়ি ভিড় করছে এখানে।

আরও পড়ুন: ৬৬ বছরে বাংলা একাডেমি

একজন বলেন, করোনার কারণে টানা একবছর বাসা ছিলাম। তবে এখন এখানে ঘুরতে এসে খুবই আনন্দিত। 

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানেই শুরু হয় দুর্গম সাজেক ভ্যালিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কাজ। এখানে আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথে যেমন সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলা হয়েছে, তেমনি পর্যটকদের'ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর এখানে এখন পর্যটকদের জন্য আবাসস্থল গড়ে তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।

স্থানীয় একজন বলেন, এটি পর্যটন এলাকা হওয়ায় আমাদের কাজ কর্ম বেড়ে গেছে। মাঝে করোনায় অনেকদিন বন্ধ থাকায় বিপাকে ছিলাম। তবে এখন খুলে দেওয়াতে আমাদের খুবই ভালো হয়েছে। 

খাগড়াছড়ি সদর থেকে দীঘিনালা-বাঘাইহাট হয়ে যাওয়া যায় সাজেক ভ্যালিতে। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সকাল ১০টা এবং বিকাল ৩টায় বাঘাইহাট থেকে সাজেক ভ্যালী পর্যন্ত স্কর্টের ব্যবস্থা জারি রেখেছে সেনাবাহিনী।