বাংলার সময় আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
৩০-১১-২০২০, ২২:১৬
মোফাখখারুল ইসলাম মজনু

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুমেরী জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ এর ১৩(খ)(১) ধারা অনুসারে আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো এবং বর্ণিত পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান -১কে উক্তি উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হলো। এ আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘যেহেতু আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস একই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনের সাথে অসদাচরণ, দুর্ব্যবহার, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেছেন। তার এ পদে বহাল থেকে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা রাষ্ট্র বা পরিষদের স্বার্থের পরিপন্থী। সেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে তার স্বীয় পদে হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ প্রজ্ঞাপনের আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে আদিতমারী উপজেলা পরিষদের সদ্য বরখাস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস বলেন, ‘ইউএনওই আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে প্রত্যেকটি দপ্তরকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। এবং তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সঠিক কোনো তদন্ত না করেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আদালতে যাবো।’
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর আদিতমারী উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় উন্নয়ন সভার হট্টগোলকে কেন্দ্র করে বিকেলে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন সহ উপজেলার অন্যান্য ১৭টি দফতরের কর্মকর্তারা এক যোগে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বরাবর উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় ‘বেশি কথা বললে পিটিয়ে নরসিংদী পাঠিয়ে দেব।’
পরে ১৫ নভেম্বর ইউএনও বাদী হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগে জিডি করেন। উপজেলা পরিষদের ১৯টি চেকের পাতা ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় একই দিনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও একটি জিডি করা হয়।