খেলার সময় বাংলাদেশ গেমসে অ্যাথলিটের সংখ্যা কমেছে, তবুও ইতিবাচক ফেডারেশনগুলো
৩০-১১-২০২০, ১৪:৩১
খেলার সময় ডেস্ক

আগামী বছরে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ গেমসে ১০ হাজার অ্যাথলিট অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে সেই সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে আসছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ফেডারেশনগুলো। গতবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফলাফলকেই প্রাধান্য দিয়ে খেলোয়াড় বাছাইয়ের কথা বলছে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। তবে সার্ভিসেস দলগুলোর পাশাপাশি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে বাছাই প্রক্রিয়াটা কঠিন মনে করছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে ২১টি ভেন্যুতে ৩১ ডিসিপ্লিনের ৩৫৬ ইভেন্টে বাংলাদেশ গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সাত বছর পর চলতি বছরের এপ্রিলে গেমসের নবম আসর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে পিছিয়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস।
তবে এবার কঠিন পরিস্থিতির কারণে গেমসের ৩১ ডিসিপ্লিনে ইভেন্টের পাশাপাশি খেলোয়াড় সংখ্যা কমিয়ে সীমিত পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের। বিশ্বজুড়ে কোভিড নাইন্টিনের দ্বিতীয় ঢেউ বিরাজ করছে। তাই বিওএর এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ফেডারেশনগুলো।
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, গত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে পুরুষ বিভাগের ১২টি ও নারী বিভাগে ১২টি দল বাছাই করে নিয়েছি। এই ২৪টি দল বাংলাদেশ গেমসের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। গেমস সীমিত পরিসরে হচ্ছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি আমরা। স্বাস্থ্যবিধির সব নিয়ম মেনে খেলোয়াড় মাঠে নামবে। এ ব্যাপারে আমার সতর্ক আছি। আশা করছি সবার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ গেমস সময় মতোই অনুষ্ঠিত হবে।
সাঁতার ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ বলেন, অলিম্পিকের সহযোগিতায় আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। সাধারণত সুইমিংয়ে আমরা তেমনভাবে বাছাই প্রক্রিয়া করি না। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সেট টাইমকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
এবারের আসরে ১০ হাজার অ্যাথলেট অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও,করোনার কারণে সেই সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে। তাহলে প্রশ্ন কোন প্রক্রিয়ায় অ্যাথলিট বাছাই করে গেমসে সুযোগ দেওয়া হবে? এ ক্ষেত্রে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন গতবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফলাফলকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা ভাবছে।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন উপমহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, গতবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফলাফলকেই প্রাধান্য দিয়ে খেলোয়াড় বাছাইয়ের প্রক্রিয়া হবে। আমরা একটা সিস্টেম ফলো করব। মেরিট লিস্ট অনুযায়ী বাছাই করতে ফেডারেশনগুলোকে বলা হয়েছে।
গেমসের ডিসিপ্লিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইভেন্ট অ্যাথলেটিকস। তাই এই ডিসিপ্লিন থেকে খেলোয়াড় বাছাই করাটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। তারপরও সার্ভিসেস দলগুলোর পাশাপাশি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে মেধাবীদের মূল্যায়ন করার কথা জানান তিনি।
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু বলেন, স্বাস্থ্যবিধিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ডিসিপ্লিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইভেন্ট অ্যাথলেটিকস। সার্ভিসেস দলগুলোর পাশাপাশি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে বাছাই প্রক্রিয়াটা কঠিন হবে। তারপরও অলিম্পিকের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নেব।
করোনার আঁধার কেটে ঠিক সময়ে বাংলাদেশ গেমস মাঠে গড়াবে। প্রত্যাশা ফেডারেশন কর্তাদের।