মহানগর সময় পড়াশোনায় এগিয়ে আসছে কক্সবাজারের তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী
৩০-১১-২০২০, ১০:২৪
সুজাউদ্দিন রুবেল
ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করার পথে হাঁটছে কক্সবাজারের তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর অনেকে। এরই মধ্যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে নিজেদের যুক্ত করেছেন তারা। হতে চান সরকারি চাকরিজীবী
কথা হয় কক্সবাজারের জোনাকির সঙ্গে। তিনি বলেন, নিজের ওপর সমাজের নানা ক্ষেত্রে অন্যায় অবহেলা আর নিপীড়নের কথা। কারণ, মানুষ পরিচয়ের বাইরেও তার পরিচয় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। স্কুলে গেলে পেছনের বেঞ্চে বসতে তাকে বাধ্য করা হতো।
শধু জোনাকিই নন, এমন বেশ কয়েকজন সম্প্রতি বের হয়ে এসেছেন ভিক্ষাবৃত্তিসহ মানুষকে হয়রানি করে অর্থ উপার্জন থেকে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতে কলমে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও সন্ধ্যা নামতেই তাদের শিক্ষার স্থান হয়ে উঠে কক্সবাজারের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। নিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের শিক্ষাও। তারা চান স্বাভাবিক জীবনযাপন। তাদের অনেকের ইচ্ছা সরকারি চাকরি করার।
তাদের একত্র করার উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি জানান সমাজের বোঝা নয়, সম্পদে পরিণত করতেই তার এই প্রয়াস। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিতে ২০১৯ সালে নিজ অর্থায়নে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসেন এনজিও কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস। সমাজে অবহেলিত হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষের শিক্ষিত করে সমাজের মূলধারায় আনতে কক্সবাজারে ব্যতিক্রমী ভাসমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি বলেন, এই জনগোষ্ঠীর মানুষ তখনই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, যখন তাদের শিক্ষা থাকবে। একার অর্থায়নে চালু রাখা এই কার্যক্রমকে প্রসারিত করতে চান সবার আর্থিক সহযোগিতা।
কক্সবাজারে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সংখ্যা রয়েছে ৫০০ জনের বেশি। যার মধ্যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন।