খেলার সময় জেলা ভিত্তিক ৭০ একাডেমি এসেছে বাফুফের আওতায়
৩০-১১-২০২০, ০১:৪৫
খেলার সময় ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যক্তিগত ৭০টি একাডেমিকে আনা হয়েছে বাফুফের আওতায়। যেখানে আবেদন পড়ে ছিল ২৫০টির বেশি। ফেডারেশনের আওতায় আসতে পেরে খুশি একাডেমির কর্তারা।
প্রত্যাশা রাখছেন বাফুফে থেকে নিয়মিত সহযোগিতা পাওয়া। আর ফেডারেশন বলছে, বিভিন্ন শ্রেনীর কোচদের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে আর্থিক সুবিধা পাবে একাডেমিগুলো। তবে রক্ষা করতে হবে নির্ধারিত মান।
আরও পড়ুন: কাতারে ইনজুরির কবলে জাতীয় ফুটবল দল
ফুটবলকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন তৃণমূলকে শক্তিশালী করা। এই মন্ত্রে এবার বেশ মনোযোগী বাফুফের নবনির্বাচিত কমিটি। নিচ্ছে নানা উদ্যোগ।
চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী শোভনীয়া ফুটবল একাডেমি। ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠা এই একাডেমির বেশ কিছু ফুটবলার জায়গা করে নিয়েছে জেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের ক্লাবগুলোতে। যেখানে নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন বিভিন্ন বয়সী খেলোয়াড়রা। এমন অনেক একাডেমি রয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। জেলা পর্যায়ের ক্লাবের পাশাপাশি স্থানীয় একাডেমিগুলো আনা হচ্ছে ফেডারেশনের আওতায়।
এসব একাডেমিগুলোকে বলা হয় বাফুফের তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য। যেখানে আবেদন করা ২৫০টির বেশি একাডেমি থেকে অনুমোদন দেয়া হয় দেশের বিভিন্ন জেলার ৭০টি একাডেমিকে।
মাদারবাড়ী শোভনীয়া ফুটবল একাডেমির পরিচালক নূর জাহেদ বাবলু বলেন, তৃণমূলে আমরা যারা কাজ করি, সেখান থেকে একজন খেলোয়াড় যে জাতীয় দলে বা বড় বড় ক্লাবে উঠে আসবে তারই একটা সিড়ি আমরা অতিক্রম করলাম।
নিজস্ব একাডেমি তৈরী নিয়ে এখনি ভাবছে না ফেডারেশন। তবে বাফুফের আওতায় আসা এসব একাডেমিগুলো নিয়ে রয়েছে ভিন্ন পরিকল্পনা। দেয়া হবে কোচসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা।
বাফুফের সহসভাপতি আতাউর রহমান মানিক বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জেলা যারা নিজেদের উদ্যোগে, নিজের অর্থায়নে একাডেমি চালিয়ে আসছিলেন, তাদের কোনো স্বীকৃতি ছিলো। আজকে আমরা এই একাডেমিগুলো স্বীকৃতি দিয়ে বাফুফের আওতায় এনেছি। এতে করে তৃণমূলের ফুটবলের এসব একাডেমিকে যে ধরণের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিতে হয় সেগুলো আমরা দিতে পারবো।
পাশাপাশি এসব একাডেমিগুলো নিয়ে একটি ফেস্টিভ্যাল করার পরিকল্পনাও রয়েছে ফেডারেশনের।