বাংলার সময় ভারত ফেরত বাংলাদেশিদের ১০ ঘণ্টা পর ইমিগ্রেশন ছাড়ল
২৭-১১-২০২০, ২০:৪২
আজিজুল হক

অবশেষে ১০ ঘণ্টা পর ভারত ফেরত বাংলাদেশি যাত্রীদের গন্তব্যে ফেরার অনুমতি মিলেছে। ভারত থেকে ফেরার সময় সঙ্গে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করোনা নেগেটিভ সনদ না থাকায় শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আটকে ছিল এসব যাত্রী। এসব যাত্রীর অধিকাংশই ভারতে গেছিলেন চিকিৎসার জন্য।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ভারত ফেরত বাংলাদেশিদের করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে বলে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট থেকে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে বিজনেস ও মেডিকেল ভিসায় দেশ, বিদেশি যাত্রীদের ভারত ভ্রমণের সুযোগ হয়। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) থেকে এসব যাত্রী ভারত হতে ফিরতেও লাগছে করোনা নেগেটিভ সনদ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পরিদর্শক মহাসিন উদ্দীন জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় দেশ-বিদেশি সবার করোনা নেগেটিভ সনদ লাগছিল। এখন দ্বিতীয় ধাপে করোনা সংক্রমণ রোধে ভারত থেকে ফেরার সময়ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করানো নেগেটিভ সনদ লাগবে। আজকে যেহেতু এ নিয়ম কার্যকর হয়েছে তাই অনেকে জানতে না পেরে সনদ সংগ্রহ করতে পারে নাই। বিষয়টি ওপর মহলের সঙ্গে কথা বলে মানবিক কারণে যাত্রীদের বাংলাদেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে আগামীকাল (শনিবার) থেকে সনদ ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবে না।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার বিচিত্র মল্লিক জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আজ থেকে ভারত ফেরত দেশি, বিদেশি সব যাত্রীর বাংলাদেশে আসতে হলে করোনা নেগেটিভ সনদ প্রয়োজন হচ্ছে। যারা এ খবর জানতেন না তারা আটকা পড়েন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে তারা অনুমতি দিলে যাত্রীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে মানবিক কারণে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (শনিবার) থেকে কড়াকড়িভাবে এ নিয়ম কার্যকর হবে।
জানা যায়, বেনাপোল থেকে ভারতের প্রধান বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়াতে এ পথে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বেশি যাতায়াত করে থাকেন। প্রতি বছর এ পথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ দেশি-বিদেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। এদের কাছ থেকে ভ্রমণকর বাবদ সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ১০০ কোটির কাছাকাছি।