মহানগর সময় ভেঙে ফেলা হচ্ছে কমলাপুর রেলস্টেশন
২৬-১১-২০২০, ১৯:২৬
ওয়েব ডেস্ক

যোগাযোগব্যবস্থার আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে মেট্রোরেলের সঙ্গে পরিচিত হতে যাচ্ছে রাজধানীবাসী। আর এই মেট্রোরেলকে জায়গা দিতে ভাঙা হচ্ছে স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য স্থাপনা কমলাপুর রেলস্টেশনের ভবনটি। তবে স্থাপত্যের এই শৈল্পিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বর্তমান ভবন থেকে কিছুটা উত্তরে সরে যাচ্ছে রেলস্টেশন। সেখানে বর্তমান ভবনের নকশার আদলেই নির্মাণে হবে নতুন স্টেশনটি।
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলমান মেট্রোরেলের কাজ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তে বর্ধিত হয়েছে ১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। এতে মেট্রোরেলের শেষ স্টেশনটি পড়ছে কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে। আর এতেই সরিয়ে নিতে হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কমলাপুর রেলস্টেশন। ্
আরও পড়ুন: কমলাপুর রেলস্টেশন ভেঙে ফেলার প্রস্তাব
নতুন নকশা অনুযায়ী মেট্রোরেল প্রকল্পের সর্বশেষ স্টেশনটি পড়েছে কমলাপুর রেলস্টেশন ভবনের সামনে করা গেলেও এখানে লাইন পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে আরও বেশি জায়গা। একই সঙ্গে কমলাপুরকে ঘিরে যে মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব হবে সেখানেও পড়বে কমলাপুর স্টেশনের বেশকিছু জায়গা।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক সময় সংবাদকে বলেন, একাধিক গ্রাউন্ডওয়ার্ক মিটিং শেষ করে আমরা চূড়ান্তভাবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি বৈঠক করি। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি চূড়ান্ত করা হয়েছে কোন স্টেশনটি কোথায় স্থাপন করা হচ্ছে।
নতুন এই নকশা অনুযায়ী ভাঙতে হবে কমলাপুর রেলস্টেশন। মেট্রোরেলের এই প্রস্তাবের সঙ্গে সম্মত হয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ও।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সময় সংবাদকে জানান, আমরা সবাই মিলে যে নকশাটিতে একমত হয়েছি, সেটি যদি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেন তাহলে সে অনুযায়ী কাজ হবে। আর তিনি যদি এটাতে একমত না হয়ে ভিন্ন কোনো পরিকল্পনা দেন তখন তার দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ীই কাজ করা হবে।
তবে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য নির্মাণশৈলীর কথা বিবেচনায় রেখে বর্তমান স্টেশন ভবনের আদলে আরও একটি ভবন নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এখন যে পরিকল্পনা রয়েছে সেখান বর্তমান ভবনের নকশার আদলে একটি রেপ্লিকা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী বর্তমান রেলস্টেশনের ভবন থেকে একটু সরে গিয়ে ভবনটি করা হবে। এখানে যে স্থাপত্যশৈলীর কোনো পরিবর্তন করা হবে না।
তবে কবে থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন ভাঙা শুরু হবে বা নির্মাণকাজ শুরু হবে সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান রেলপথমন্ত্রী।