বাণিজ্য সময় যশোরে সবজির বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি
২৬-১১-২০২০, ১২:৩৭
ওয়েব ডেস্ক

যশোরের শার্শা উপজেলায় শীতের সবজির বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উটেছে। বাজারে ভালো দাম ও ক্রেতার চাহিদা বেশি থাকায় এ অঞ্চলের কৃষকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, চলতি বছরে বন্যা, ভারী বর্ষণ ও নিম্নচাপের প্রভাবে ধান, পাট ও শাক-সবজিসহ আরো অনেক ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই শীতকালীন সবজির চাষ বেড়েছে। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর শীতের সবজির ফলনও ভালো হয়েছে। তাই কৃষকরা অনেক খুশি।
সৌতম আরো বলেন, চলতি মৌসুমে ২০০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। শার্শায় এবার পাঁচ হাজার চাষি ১ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে শীতের সবজি আবাদ করেছেন যার পরিমাণ গতবছর ছিল ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর।
এদিকে শার্শার বিভিন্ন মাঠের সবজি ক্ষেত ও বাজার ঘুরে তরতাজা লাউ, কুমড়া, শিম, বেগুন, বরবটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, লালশাক, মুলা শাক, পালং শাক, সবুজ শাক,ডাটা শাক,টমেটো, গাজর, পটল, লতিকচু, মানকচু, ঢেড়স, বরবটি, চিচিংগা, সীম, উচ্ছে, করলা, বেগুন, মরিচ ও পেঁপেসহ নানা রকম তরতাজা সবজি দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তরুণ কুমার বালা বলেন, এবার শার্শায় ২১০ হেক্টর জমিতে বেগুন, ১৯৫ হেক্টর জমিতে কুমড়া, ৩২৫ হেক্টর জমিতে পটল, ১০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের কপি, ১৯০ হেক্টর জমিতে লাল শাক, পালং শাক, ডাটা শাক ও পুইশাক এবং ৩৫ হেক্টর জমিতে লাউয়ের চাষ হয়েছে। এদিকে বাগআচড়া, নাভারণ ও বেনাপোল বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সবজি আহরণ ও বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
যদুনাথপুর গ্রামের একচাষী মোস্তাফার জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে কপি চাষ করেছি। সার, বীজ ও অন্যান্য মিলিয়ে তার প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে এ মৌসুমে প্রায় লাখ টাকার কপি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি ।
নাভারন বাজারের আড়ৎদার মনির হোসেন টিক্কা বলেন, শীতের সবজিতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে ছিল। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে; এতে ক্রেতারা খুশি। এসব এলাকা থেকে দৈনিক অন্তত ২০ ট্রাক সবজি রাজধানীতে পাঠানো যাচ্ছে বলে তিনি জানান।