মহানগর সময় চীন থেকে আমদানি পণ্য মোংলা পোর্টে চুরি
২৩-১১-২০২০, ১৬:১১
মহানগর সময় ডেস্ক

চোরাই পণ্য দিয়ে রাজধানীর ইসলামপুরে চলছে কাপড়ের রমরমা ব্যবসা। চোরাই কাপড় সরবরাহে এখানে সক্রিয় একটি চক্র। চীন থেকে আমদানিকারককে পাঠানো হয়েছে ৩১ টন। মোংলা পোর্টে পৌঁছানোর পর শুল্কারোপ কর্তৃপক্ষও পরীক্ষা করে দেখেছে ঠিক আছে। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাল খালাস করতে গিয়ে দেখেন ২৫ টনই উধাও। এমন চুরির একটি মামলা তদন্ত করতেই বেরিয়ে আসে ইসলামপুর কাহিনি। ডিবির দাবি, এ চক্রের সঙ্গে জড়িত পোর্টের সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীও।
আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের করিডর হিসেবে খ্যাত সমুদ্রবন্দরগুলো। যে স্থাপনার প্রধান দায় নিরাপদে মালামাল আমদানি ও রফতানিকারককে পৌঁছে দেওয়া।
কিন্তু দেশের অন্যতম সমুদ্রবন্দর মোংলা পোর্টে আমদানি পণ্য চুরির যাওয়ার ঘটেছে ঘটেছে। কাপড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এ ভুক্তভোগীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তাব্যবস্থার কথা বলা হলেও পোর্ট থেকেই খোয়া গেছে চীন থেকে আমদানি করা মালামালের অধিকাংশ।
ঘটনার জেরে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার একটি মামলা তদন্তে নামে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি। ইসলামপুরের থেকে চোরাই কাপড়ের একটি বড় মজুত উদ্ধার করে সংস্থাটি। এ উদ্ধার অভিযানে শামসুল আরেফিন নামের এক ব্যবসায়ীকে আটকের পর বেরিয়ে আসতে শুরু করে চাঞ্চল্য তথ্য। সংস্থাটি বলছে, কন্টেইনার ভেঙে আদমানি এসব পণ্য চুরি করা হয়। পোর্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাযশে এ চক্রে জড়িত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ একাধিক গ্রুপ। চট্টগ্রাম ও ইসলামপুরের পাইকারি বাজার হয়ে এসব চোরাই মাল পৌঁছে যায় খুচরা বাঁজারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তার ঘাটতি না থাকলে তো এই মালগুলো সেখান থেকে বের হওয়ার কথা না। কোথাও না কোথাও নিরাপত্তার ঘাটতি তো রয়েছেই। সেটা যারা এক্সপার্ট তারা খুঁজে বের করবে। পোর্টের কিছু নিয়ম রয়েছে। পোর্টের ভেতরে যখন কেউ ঢুকে বের হয়। নিশ্চিয়ই তাদের চেকিং হয়। কোন মাল বের হচ্ছে, আবার কোন মাল বের হচ্ছে না সেগুলো চিহ্নিত থাকে। এর ভেতরে প্রক্রিয়াকে ফাঁকি দিয়ে, তারা এই কাজগুলো করছে।
ডিবি বলছে, এ চক্রের বাইরেও রয়েছে আরও সক্রিয় চক্র। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। দেশ ও অর্থনীতির স্বার্থে এসব চক্রের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলেও জানান ডিবি কর্মকর্তা।