বাণিজ্য সময় তরা আড়তে মাছের দাম পাচ্ছেন না জেলেরা
২৩-১১-২০২০, ১২:৫৮
মো: ইউসুফ আলী

মানিকগঞ্জের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে তরাঘাটের আড়তে সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের মাছের দাম কমেছে। এতে পাইকাররা লাভবান হলেও জেলেরা বলছেন, দাম পাচ্ছেন না তারা।
ঐতিহ্যবাহী এ আড়তে বেচাকেনা জমজমাট হলেও নানা সমস্যায় জর্জরিত বলে জানান আড়তের সভাপতি।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে জেলে ও পাইকারদের হাঁকডাকে সরগরম মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশের তরতাজা দেশীয় মাছের আড়ত।
পদ্মা-যমুনা, কালিগঙ্গা, ইছামতি, ধলেশ্বরী নদী ও মুক্ত জলাশয়ের শোল, শিং, বাইন, রুই, বোয়াল, পাঙাশ, কাতালসহ নানা প্রজাতির দেশিয় মাছের সরবরাহ বেড়েছে। এতে দাম কমেছে মাছের। আড়তে পাইকাররা মাছ কেনে লাভবান হলেও জেলেরা বলছেন, ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তারা। তাদের অভিযোগ, কম দামে কিনে নিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন পাইকাররা।
২০০ বছরের পুরনো আড়তটি বছরের পর বছর সরগরম থাকলেও পানি নিষ্কাশনসহ মহাসড়ক থেকে আড়তে আসার রাস্তা ভালো না থাকায় পাইকার ও জেলেদের দুভোর্গ দীর্ঘদিনের বলে অভিযোগ তরা মৎস্য আড়ত সমিতির সভাপতি ভোলা নার্থ সরকারের।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) তরা বাজারে এককেজি শোল মাছ বিক্রি হয় আড়াইশ থেকে ৩শ’ টাকায়, টেংরার কেজি ১০০-১২০ টাকা, ছোট আকারের শিং ২শ’ আড়াইশ’ টাকা, ছোট বাইম সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায়, রুই ১৮০-২শ’ টাকা, বোয়াল ৬শ’-৮শ’, পদ্মার পাঙাশ ৬শ’-৭শ’ টাকা আর প্রতিকেজি কাতল বিক্রি হয় দেড়শ’ থেকে ১৬০ টাকা।
কালিগঙ্গা নদীর পাড়ের মৎস্য আড়তটিতে পাঁচ শতাধিক পাইকার ও অর্ধশতাধিক আড়তদারের মাধ্যমে কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয় প্রতিদিন।