স্বাস্থ্য বেহাল চট্টগ্রামে মাদকাসক্তি কেন্দ্রগুলোতে নেই স্থায়ী চিকিৎসক
২৩-১১-২০২০, ১০:৪০
কমল দে
পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহৃত চট্টগ্রামে মাদকসেবীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। কিন্তু বন্দরনগরীর মাদকাসক্তি চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর চরম বেহাল অবস্থা। ২৫ শয্যার একমাত্র সরকারি কেন্দ্রটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। আর অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি ১৬টি কেন্দ্র চলছে অনিয়মের মধ্যে। কোনো কেন্দ্রেই নেই স্থায়ী চিকিৎসক।
চিকিৎসকের অভাবে প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর আবারো খুলেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রটি। এবার চিকিৎসক নিয়োগ হলেও রয়ে গেছে সাপোর্টিং স্টাফের স্বল্পতা। ২৫ শয্যার এই নিরাময় কেন্দ্রে ৪২ জন স্টাফের পরিবর্তে রয়েছেন মাত্র ১০ জন। এখানে ভর্তি থাকা মাদকাসক্তরা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পান। কিন্তু রোগী রয়েছে মাত্র ১২ জন।
বিভাগীয় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. অঞ্জন কুমার দে জানান, আমাদের এখানে লোকবল থাকার কথা ৪৩ তবে বর্তমানে আছে ১০ জন। আমাদের ওয়ার্ডবয়ের সংকট আছে।
সরকারি কেন্দ্রের বেহাল অবস্থার সুযোগ নিয়েছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলো। নগরীতে অনুমোদন রয়েছে ১৬টির। নিয়ম থাকা সত্ত্বেও কোনোটিতেই সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের ব্যবস্থা নেই। নিয়মকানুন ছাড়াই চলছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, মূল সমস্যা সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকে না। রোগী বেশি থাকে, আসলে ১০ জনের অনুমতি আছে সেখানে ১২ থেকে ১৪ জন থাকে।
এ অবস্থায় বিরাজমান সমস্যাগুলো চলতি মাসের মধ্যেই সংশোধন করে সুষ্ঠুভাবে কেন্দ্র পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
রসিএমপির কোতোয়ালি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, অনেক সময় দেখা যায় পারিবারিক বিরোধ ও জমিজমা নিয়ে বিরোধে কাউকে আটকে রাখছে কিনা সে জন্য আমরা এখানে এসে তদন্ত করে কাজ করছি। যারা সেন্টার নিয়ন্ত্রণ করছেন এসব কর্মকর্তা ও রোগীদের সঙ্গেও কথা বলে কাজ করছি
ইতোমধ্যে অবৈধভাবে কার্যক্রম চালানো তিনটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।