বাংলার সময় অবশেষে চাকরিচ্যুত সেই দুই শিক্ষিকা
২১-১১-২০২০, ২১:৪৫
জাহাঙ্গীর আলম

মুক্তিযোদ্ধার কন্যা সেজে পোষ্য কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় অবশেষে চাকরি হারিয়েছেন জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার দুটি বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষিকা। সময় অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে এ তথ্য বের হয়ে আসে।
জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক শনিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপজেলার রবিয়ারচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানের ছেলে আশরাফুল আলম তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার ও খালাতো বোন শাপলা আক্তারকে জালিয়াতির মাধ্যমে সহোদর বোন পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য কোটায় চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। এ নিয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই দুই শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল করে তাদের কাছ থেকে সমুদয় বেতন-ভাতা ফেরত নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।
তবে এ জালিয়াতির মূলহোতা শিক্ষিকা নাসরিন আক্তারের স্বামী সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে।
বকশীগঞ্জ উপজেলার রবিয়ারচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানের ছেলে আশরাফুল আলম ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নিজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার ও খালাতো বোন শাপলা আক্তারকে সহোদর বোন বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দেন। খালাতো বোন শাপলা আক্তারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণেরও অভিযোগ রয়েছে আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও একই পদে আরো কয়েকজনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
বকশীগঞ্জ উপজেলার রবিয়ারচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানের ছেলে আশরাফুল আলম ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নিজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার ও খালাতো বোন শাপলা আক্তারকে সহোদর বোন বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দেন। খালাতো বোন শাপলা আক্তারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণেরও অভিযোগ রয়েছে আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও একই পদে আরো কয়েকজনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
আশরাফুল আলম নিজেও মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য হিসেবে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে বকশীগঞ্জের মাদারেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। তারা তিনজনই কাগজপত্রে বাবার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানের নাম ব্যবহার করেন। আশরাফুল আলমের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বকশীগঞ্জের টুপকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং তার খালাতো বোন শাপলা আক্তার একই উপজেলার খেয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে নিয়মিত চাকরি করে আসছিলেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে এবং এ নিয়ে অভিযোগ উঠলে করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুবাধে সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলম এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেন। মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় জালিয়াতির মাধ্যেমে সরকারি চাকরিতে যোগদানের অভিযোগ পেয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় শিক্ষক নির্বাচন কমিটি সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার ও শাপলা আক্তারের নিয়োগ বাতিল করে অফিস আদেশ জারি করেছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে এবং এ নিয়ে অভিযোগ উঠলে করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুবাধে সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলম এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেন। মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় জালিয়াতির মাধ্যেমে সরকারি চাকরিতে যোগদানের অভিযোগ পেয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় শিক্ষক নির্বাচন কমিটি সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার ও শাপলা আক্তারের নিয়োগ বাতিল করে অফিস আদেশ জারি করেছে।
একই সঙ্গে অধিদপ্তর ওই দুই নারী শিক্ষকের চাকরিতে যোগদানের সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিগত প্রায় পাঁচ বছরের উত্তোলিত বেতন-ভাতা আদায়ের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। গত ২৫ অক্টোবর অফিস আদেশ হাতে পাওয়ার পর থেকে এ বিষয়ে ওই দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তবে এই জালিয়াতির মূলহোতা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
গত সেপ্টেম্বর মাসে এই নিয়ে সময় অনলাইনে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে শিক্ষা অধিদপ্তর নরেচরে বসে। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে সংবাদের উল্লেখিত তথ্যের সত্যতা মিলে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে এই নিয়ে সময় অনলাইনে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে শিক্ষা অধিদপ্তর নরেচরে বসে। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে সংবাদের উল্লেখিত তথ্যের সত্যতা মিলে।