প্রবাসে সময় শ্রমিক থেকে উদ্যোক্তা, কুয়েতের মাটিতে নিজস্ব শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের
১৮-১১-২০২০, ১১:৫১
শরীফ মিজান
কুয়েতে মেধা আর শ্রম দিয়ে অনেকেই হয়েছেন ব্যবসায়ী। নিজেরা যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, তেমনি অনেককেই করেছেন স্বাবলম্বী। শ্রমিক থেকে উদ্যোক্তা হয়ে বিদেশের মাটিতে তৈরি করেছেন নিজস্ব শ্রমবাজার। এতে প্রবাসীদের ভাগ্যন্নোয়নের পাশাপাশি দেশও হচ্ছে লাভবান। সরকারের সহযোগিতা পেলে বিদেশের মাটিতে এমন ব্যবসায়ীর সংখ্যা দিন দিন বাড়বে বলেই মনে করছেন তারা।
জীবিকা আর উপার্জনের তাগিদে দেশে থাকা বেকার ও কর্মহীন অনেকেই পাড়ি জমাচ্ছেন কুয়েতে। বিছিন্ন কোম্পানীতে চাকরির ফাঁকে ফাঁকে বাড়তি উপার্জনের লক্ষ্যে খণ্ডকালীন কাজ করছেন কেউ কেউ। আবার অনেকেই নিজেদের শ্রম, মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে কুয়েতের মাটিতেই গড়ে তুলেছেন নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বৈধকরণ নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সতর্কতা
এতে একদিকে যেমন নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, স্বদেশীদের জন্য তৈরি করছেন শ্রমবাজার।
এতে একদিকে যেমন নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, স্বদেশীদের জন্য তৈরি করছেন শ্রমবাজার।
কুয়েত প্রবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগই ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, গ্রোসারি ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা চালু করেছেন। এসব ব্যবসায় সফলতাও পাচ্ছেন তারা। যখন বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সব কিছু বন্ধ দীর্ঘদিন চলে আসা লকডাউনের কারণে সেখানে বাংলাদেশি ফুডস্টাফ, গ্রোসারি ও রেস্টুরেন্টগুলো চলেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই। কুয়েত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই ছিল ঘরবন্দী মানুষের একমাত্র সম্বল। তাই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কুয়েতে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সচল রেখেছেন এসব ব্যবসায়ী।
প্রবাসী ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচাকেনা স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দিতে পেরে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া অনলাইনে অর্ডার সরবরাহ ছিল তাদের করোনাকালীন এক জরুরী সেবা। এতে অনেক প্রবাসী তাদের প্রয়োজনীয় ও পছন্দমত দ্রব্য পেয়েছেন সময় মতই।