বাংলার সময় স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর মাথা গোঁজার ঠাই পেলেন মুক্তিযোদ্ধা আয়েন
২১-১০-২০২০, ১৫:৫২
জাহাঙ্গীর আলম

স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর মাথা গোঁজার ঠাই পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা আয়েন উদ্দিন আকন্দ। দীর্ঘদিন পর মুক্তিযোদ্ধা আয়েন উদ্দিনকে সরকারি আবাসন প্রকল্পের আওতায় ঘর তৈরির জন্য জমি দেয়ায় এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারের সন্তান আয়েন উদ্দিন আকন্দ। একটা সময় অন্যের বাড়িতে গৃহশিক্ষক থেকে গোপালপুর স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু আহ্বানে অংশ নেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হলে সেনাবাহিনীতে চাকরি পান তিনি। ১১ বছর পর তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। সেনা বাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হলে বাড়িতে ফিরে আসে আয়েন উদ্দিন আকন্দ।
আয়েন উদ্দিন আকন্দ পাশের তারাপুর গ্রামে বিয়ে করেন। দেড় বছরের এক কন্যা সন্তান রেখে তার স্ত্রী অন্যত্র চলে যান। আয়েন উদ্দিনের মায়ের কাছে বড় হতে থাকে শিশু আমেনা। ৮ বছর বয়স থেকে আমেনা অন্যের বাড়িতে কাজ নেয়। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা আয়েন উদ্দিন আকন্দের স্থান হয় রাস্তা ও অন্যের দোকানের চালার নিচে। মেয়ে আমেনা বড় হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা বাবার জন্য একটু আশ্রয়স্থল করে দিতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।
জেলা প্রশাসক তাকে বারুয়াখালীতে ৩২ শতাংশ খাস জমির বন্দোবস্ত করে দেন। তবে বাদ সাজে এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। দীর্ঘদিন সরকারের দেয়া সেই জমিতে যেতে দেয়নি মুক্তিযোদ্ধা আয়েন উদ্দিন আকন্দকে।
বিষয়টি জেলা প্রশাসক এনামুল হকের নজরে আসলে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুক্তিযোদ্ধা আয়েন উদ্দিন আকন্দের জমি বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হকের নির্দেশে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াছমিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুজায়েত আলী ফকিরসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা আয়েন উদ্দিন আকন্দকে বারুয়াখালীতে সরকারের দেয়া ৩২ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দেন।
জানানো হয় মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন প্রকল্পের আওতায় ঘর দেয়া হবে।