ভ্রমণ পুরনো রূপে ফিরছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
১৬-০৯-২০২০, ১০:৩২
সুজাউদ্দিন রুবেল
করোনা পরিস্থিতিতে আবারও বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সৈকতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা বলছেন, করোনার অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে কক্সবাজারে ছুটে আসা। এতে সৈকতের হকাররা আবারো উজ্জীবিত।
সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট। কয়েকদিন আগেও হাতে গোনা পর্যটক এই পয়েন্ট দিয়ে সৈকতে ঢুকতেন। কিন্তু এখন এই পয়েন্ট দিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সব বয়সী মানুষের ভিড়। সৈকতের বালিয়াড়ি, নীল জলরাশি ও পানিতে গোসলে মাতছেন তারা।
করোনার কারণে দীর্ঘ ৫ মাস পর গত ১৭ আগস্ট সৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটক কেন্দ্রগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এরপর থেকে বাড়তে থাকে পর্যটকের আগমন। আর সাপ্তাহিক ছুটিতে উপচে পড়া ভিড় সাগর তীরে।
পর্যটক আগমনের উপর নির্ভরশীল সৈকতের ফটোগ্রাফার, জেড স্ক্রি চালক ও হকাররা। দীর্ঘদিন পর হলেও সৈকতে পর্যটক বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে তাদের মধ্যে।
সৈকতে পর্যটকের চাপ বাড়ায় ৩টি পয়েন্টে টহল ও টাওয়ার বসিয়ে সমুদ্র স্নানে নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা।
সী-সেইভ লাইফ গার্ড ইনচার্জ মোহাম্মদ সিরু বলেন, লোকজন বেশিই নামছেন পানিতে। আপনার সেদিকে খেয়াল রাখছি সর্বদা।
পর্যটন ব্যবসার উপর নির্ভর করে কক্সবাজার গড়ে উঠেছে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ৫ শতাধিক রেস্তোরা, সহস্রাধিক বার্মিজ দোকান ও পর্যটকবাহী জাহাজ। এর সাথে জড়িত রয়েছেন দেড় লক্ষাধিক মানুষ।