বাংলার সময় নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকালেন স্কুল ছাত্রী শাহিনা
০৭-০৯-২০২০, ০১:২৭
মোফাখখারুল ইসলাম মজনু

পরিবারের পক্ষ থেকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে বাড়ি থেকে পালিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয় লালমনিরহাটের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী শাহিনা আক্তার। সেখানে অবস্থান নেয়ার পর মোবাইল ফোনে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতা চায় ওই স্কুল ছাত্রী।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই উপজেলার ইউএনও সামিউল আমিন তাকে সাথে নিয়ে হাজির হন স্কুল ছাত্রী শাহীনাদের বাড়িতে। সেখানে তার বাবা-মায়ের মুচলেকা মাধ্যমে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালেন ওই স্কুলছাত্রী।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের উত্তর ধুবনী গ্রামে।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর ধুবনী গ্রামের সাইরুদ্দিনের মেয়ে শাহিনা আক্তারকে শুক্রবার রাতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তার বাবা-মা। উপায় না পেয়ে শাহিনা বাড়ি থেকে পালিয়ে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে শুক্রবার রাতেই হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম ও পরে হাতীবান্ধা ইউএনও সামিউল আমিনকে ফোন করে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা কামনা করেন শাহিনা।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউএনও সামিউল আমিন হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমকে সাথে নিয়ে প্রথমে শাহিনা আক্তারকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। পরে ইউএনও নিজেই তার গাড়িতে করে শাহিনাকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন। এ সময় তার বাবা সাইরুদ্দিনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আইয়ুব আলীর জিম্মায় দেন।
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, রাতে খবর পাওয়া মাত্র আমি ওই স্কুলের শিক্ষকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। সকালে মেয়েকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বাবা মায়ের সাথে কথা বলে শাহিনাকে তাদের কাছে দিয়ে এসেছি। শাহিনার বাবা মা মুচলেকা দিয়েছেন ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না।