শেয়ার বাজার জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমলো
০১-০৯-২০২০, ২১:২৮
হরিপদ সাহা

পুঁজিবাজারে আগামীকাল বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে জেড ক্যাটেগরির শেয়ারে (টি+৩) এর নতুন নিয়ম। এতদিন এই ক্যাটাগরির শেয়ার (টি+৯) এ লেনদেন নিষ্পত্তি হতো। এতে বাজারের মন্দশ্রণীর শেয়ার জেড এর লেনদেন নিষ্পত্তির সময় মোট ৯ দিনের পরিবর্তে ৩ দিনে নেমে আসলো।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
যেখানে বলা হয়েছে, পরপর দুইবছর নগদ লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে এজিএম করতে ব্যর্থ হলে, ৬ মাস উৎপাদন বন্ধ থাকলে, পরপর ২ বছর পরিচালন লোকসান ও ঋণাত্মক পরিচালন নগদ প্রবাহ এবং পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে সংরক্ষিত আয় বেশি ঋণাত্মক হওয়া কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। এছাড়া সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে।
এর আগে কমিশনের ৭৩৫তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে টি প্লাস থ্রিতে সেটেলমেন্ট জেট ক্যাটাগরির শেয়ার।
সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১.সকল স্পন্সর ও বর্তমান পরিচালকদের ধারণকৃত শেয়ার বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং প্লেজ বন্ধ থাকবে।
২.জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেনকৃত কোম্পানীসমুহকে ছয় মাসের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে হবে।
৩.সকল ধরণের শেয়ার হােল্ডার মিটিং (এজিএম/ইজিএম) ই ভোটিং/ অনলাইনের সুবিধা প্রদানপূর্বক ডিজিটাল প্লাটফর্মে অথবা হাইব্রিড সিস্টেমে করতে হবে।
৪. যেসব কোম্পানী দুই বছর বা তদূর্ধ্ব সময় ধরে জেট ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত সেই সমস্ত কোম্পানি, পঁয়তাল্লিশ কর্মদিবসের মধ্যে চলমান বাের্ড পুনর্গঠন করতে ব্যর্থ হলে বর্তমান পরিচালক ও স্পন্সরগণ অন্যকোন তালিকাভুক্ত কোম্পানীতে ও পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোন কোম্পানীর পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না।
১.সকল স্পন্সর ও বর্তমান পরিচালকদের ধারণকৃত শেয়ার বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর এবং প্লেজ বন্ধ থাকবে।
২.জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেনকৃত কোম্পানীসমুহকে ছয় মাসের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে হবে।
৩.সকল ধরণের শেয়ার হােল্ডার মিটিং (এজিএম/ইজিএম) ই ভোটিং/ অনলাইনের সুবিধা প্রদানপূর্বক ডিজিটাল প্লাটফর্মে অথবা হাইব্রিড সিস্টেমে করতে হবে।
৪. যেসব কোম্পানী দুই বছর বা তদূর্ধ্ব সময় ধরে জেট ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত সেই সমস্ত কোম্পানি, পঁয়তাল্লিশ কর্মদিবসের মধ্যে চলমান বাের্ড পুনর্গঠন করতে ব্যর্থ হলে বর্তমান পরিচালক ও স্পন্সরগণ অন্যকোন তালিকাভুক্ত কোম্পানীতে ও পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোন কোম্পানীর পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না।
কমিশন এক্ষেত্রে বিশেষ নিরীক্ষক ও কমিশন কর্তৃক পর্যবেক্ষক নিয়ােগের মাধ্যমে বাের্ড পুনর্গঠন করে জেট ক্যাটাগরির কোম্পানীর সুশাসন নিশ্চিত করবে। পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ চার বছরের মধ্যে কোম্পানীর সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হলে স্টক এক্সচেঞ্জ উক্ত কোম্পানীকে তালিকাচ্যুতিসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অন্যদিকে ৬ (ছয়) মাস বা ততােধিক সময় কোম্পানির উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে অথবা যদি পরপর ২দুই) বছর নিট কার্যকর লােকসান অথবা নেগেটিভ ক্যাশ ফ্লো অপারেশন থাকলে অথবা
যদি তালিকাভুক্তি কোম্পানীর পুঞ্জিভূত লােকসান তার পরিশােধিত মূলধনকে অতিক্রম করে। এছাড়াও, কোন তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের জন্য কমিশনের অনুমতিক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জয় জেট ক্যাটাগিরিতে স্থানান্তর করতে পারবে।
যদি তালিকাভুক্তি কোম্পানীর পুঞ্জিভূত লােকসান তার পরিশােধিত মূলধনকে অতিক্রম করে। এছাড়াও, কোন তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের জন্য কমিশনের অনুমতিক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জয় জেট ক্যাটাগিরিতে স্থানান্তর করতে পারবে।