বাংলার সময় নির্যাতনের শিকার মমিনুলের খোঁজ নিতে গেলেন পুলিশ সুপার
১১-০৬-২০২০, ১৮:২৪
মোফাখখারুল ইসলাম মজনু

অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে লালমনিরহাটে চুরির দায়ে মমিনুল নামের এক কিশোরকে পৈশাচিক নির্যাতনের ঘটনা কোন ভাবেই মেনে নিতে পাচ্ছেন না এলাকার মানুষ ও তার মা। টাকার অভাবে মায়ের চিকিৎসা করাতে না পেড়ে দিশেহারা কিশোর মমিনুল গত মঙ্গলবার বিকেলে শহরের মিশন মোড় এলাকার সীমান্ত শপিং মল সংলগ্ন রাস্তায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোরিকশা থেকে তেলের জারিকেন চুরি করে।
প্রথমে অটোচালক তাকে আটক করলে বেধড়ক মারপিটের শিকার হয় ওই কিশোর। এ অবস্থায় সেখানে হাজির হন প্রভাবশালী আশরাফ আলী লাল। দ্বিতীয় দফায় আবারো শুরু হয় আদিমযুগীয় কায়দান পৈশাচিক নির্যাতন। লালমিয়া তাকে বেধড়ক মারপিটে মাটিতে ফেলে গলায় মুখে হাতে পা দিয়ে চেপে ধরে মধ্যযুগীয় কায়দায় চালায় নির্যাতন। সেই (মঙ্গলবার) রাতেই ভাইরাল হয় ওই ভিডিওটি। তোলপাড় শুরু হয় প্রশাসনে। মঙ্গলবার গভীর রাতে রাতেই সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে লালমিয়াকে।
গতকাল বুধবার দিনভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের আদালতে তোলা হলে জামিন না মঞ্জুর করে পাঠান জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে কিশোর মমিনুল ও তার মা মায়ের অবস্থা জানতে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত আবাসনে গিয়েছিলেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা। পুলিশ সুপার কিশোর মমিনুল ও তার মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। সহযোগিতা হিসেবে নগদ দুই হাজার টাকা, চাল ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ও ফলমূল প্রদান করেন।
এসময় পুলিশ সুপার জানান, আইন কোনমতেই নিজের হাতে তুলে নেয়া ঠিক না। কিশোর মমিনুলকে নির্যাতনের ঘটনায় আমরা ৪ জনকে গ্রেফতার করেছি অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এসময় পুলিশ সুপার জানান, আইন কোনমতেই নিজের হাতে তুলে নেয়া ঠিক না। কিশোর মমিনুলকে নির্যাতনের ঘটনায় আমরা ৪ জনকে গ্রেফতার করেছি অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।