শেয়ার বাজার খোলার পর শুরুর দিনের সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতা ধরে রাখতে পারেনি ডিএসই
০৬-০৬-২০২০, ১১:৩২
বাণিজ্য সময় ডেস্ক

করোনার মহামারিতে টানা দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর পুঁজিবাজার চালুর প্রথমদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচকগুলো ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও তা ধরে রাখতে পারেনি দেশের প্রধান পুঁজিবাজারটি। সপ্তাহ ব্যবধানে সব সূচকেই কমেছে পয়েন্ট, লেনদেনও কমে গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল সপ্তাহের শেষদিন বৃহস্পতিবার। ব্যাপক দরপতন ঠেকাতে কার্যকর করা ফ্লোর প্রাইসে ক্রেতাদের অনীহা শেয়ার কেনায়।
টানা নয় সপ্তাহ ছুটির পর বিএসইসির অনুমোদনে ৩১ মে আবারো লেনদেন শুরু হয় শেয়ারবাজারে। প্রথমদিন সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান নেয় ৪ হাজার ৬০ পয়েন্টে। শরীয়াহ সূচকে বাড়ে ৩১ এবং বাছাইসূচক ডিএস ৩০ বাড়ে ৩৪ পয়েন্ট। লেনদেন হয় ১৪৩ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। তবে বাজারের এ গতি স্থায়ী হয়নি, পরদিনই ডিএসইএক্স কমে ৬১ পয়েন্ট যা পরের তিনদিন কমে অবস্থান নেয় ৩ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টে। একইরকম ডিএসই বাছাই ও শরীয়াহ সূচক পয়েন্ট হারিয়েছে ছুটির পর লেনদেন শুরু হওয়ার প্রথম সপ্তাহে।
পাঁচ দিনে টাকার অংকে হাতবদল হয়েছে ৬৯৮ কোটি টাকার শেয়ার। যার মধ্যে গত ১৩ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে শেষদিন বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় মাত্র ৪৩ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। প্রায় প্রতিদিনই বাজারে লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দাম বাড়া ও কমার সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকা দামের শেয়ারের তুলনায় অনেক কম দেখা গেছে।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো ওষুধ খাতের শেয়ার। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় একঘণ্টা কমে লেনদেন চলছে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।