স্বাস্থ্য প্লাজমা থেরাপি কার্যক্রমে সহায়তা করছে সন্ধানী
১৯-০৫-২০২০, ১৯:৪৩
স্বাস্থ্য সময় ডেস্ক

করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে Convalescent Plasma Therapy ট্রায়াল সম্পর্কিত টেকনিক্যাল কমিটিকে প্লাজমা সংগ্রহ করতে সহায়তা করছে 'সন্ধানী'।
বাংলাদেশে করোনা জয়ী ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বপ্রথম প্লাজমা দান করেন ডা. জোয়ার্দার রাকিন মঞ্জুর। পরবর্তীতে সন্ধানীর প্রচেষ্টায় গত ১৪ মে স্বেচ্ছায় প্লাজমা দান করেছেন দেশের প্রথম নন-মেডিকেল ব্যক্তি তাসনিম সোহেল আকাশ। তিনি ঢাকার অধিবাসী এবং পেশায় একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার।
কোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার শরীরে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এন্টিবডি তৈরি হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থতা লাভের পরেও এই এন্টিবডিগুলো রক্তের প্লাজমায় বিদ্যমান থাকে।
প্লাজমা থেরাপি পদ্ধতিতে করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির প্লাজমা সংগ্রহ করে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ট্রান্সফিউশন করা হয়। Plasma Convalescent Therapy নিয়ে গবেষণা চলছে সারা বিশ্বেই। বাংলাদেশে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগের বিষয়ে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির তৈরি করা প্রটোকল ইথিক্যাল রিভিউ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থেকে মুক্তির ২৮ দিন পরে অথবা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথম RT PCR টেস্ট পজিটিভ হওয়ার পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় RT PCR টেস্ট এর ফলাফল নেগেটিভ আসলে, তৃতীয় টেস্টের স্যাম্পল সংগ্রহের ১৪ দিন পর একজন সুস্থ ব্যক্তি প্লাজমা দান করতে পারেন।
৬০ কেজি ওজনের একজন সুস্থ ব্যক্তি ৪০০ মিলি প্লাজমা দান করতে পারেন। এফেরেসিস মেশিনের মাধ্যমে এই প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়।
করোনা আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় প্লাজমা দানে ইচ্ছুক ব্যক্তি সন্ধানীর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে প্লাজমা দান করতে পারবেন।