সিটি নির্বাচন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা
১৯-০৩-২০২০, ০৯:৫৫
পার্থ প্রতিম বিশ্বাস

করোনা ভাইরাসের কারণে সভা, মিছিল কিংবা কোনো ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ হলেও চট্টগ্রামে কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা।এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় করোনা কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর।
দেশে করোনার রোগী ধরা পড়ার পর আইইডিসিআর এর পক্ষ থেকে জনসমাগম, সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। তবে কোনো ধরনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদিনই চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। আর প্রচারণায় কোনো ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই অংশ নিচ্ছেন হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী। যে কোনো ধরনের সভা, মিছিল বা গণজমায়েতেই করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর সর্বোচ্চ আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে গণস্বাস্থ্য বিবেচনায় ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্রার্থীদের সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল না করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, যেখানে গণজমায়েত সেখানেই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সর্বোচ্চ।
আর জনগণের জীবনের কথা চিন্তা করে নির্বাচন পেছানোর দাবি সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতির।
সনাকের সভাপতি আকতার কবির চৌধুরী বলেন, নির্বাচনটা এ সময়ে করা একদমই বিবেচকের কাজ হয়নি। নির্বাচনটা পেছানো উচিত ছিল, কারণ জনগণের জন্যই নির্বাচন।
তবে করোনার ঝুঁকির বিষয়টি কোনোভাবেই মানতে নারাজ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা। সাধারণ মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষা করে নির্বাচনে করোনা কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না বলেও দাবি তাদের।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন সবাই আতঙ্কিত তখন আমরা স্লোগান দিচ্ছি, সাবান দিয়ে হাত ধোবেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।
বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করার জন্য আমরা নির্বাচন পেছানোর দাবি করছি।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থী, ১৬১ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ৫৬ জন সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে আছেন।