বাংলার সময় নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে চলেছে ইলিশ আহরণ
১৫-০৩-২০২০, ১২:৩৬
সময় সংবাদ

সরকারী নিষেধাজ্ঞার কোন তোয়াক্কা না করেই শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর ইলিশের অভয়াশ্রমের ভিতরে ও বাইরে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ আহরণ পরিবহন ও বিক্রিতে মেতে রয়েছে জেলেরা। মৎস্য বিভাগের দাবি স্বল্পসংখ্যক লোকবল নিয়ে ইলিশ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্চে তারা। নিষিদ্ধ জাল ও ঠগা প্রতিরোধ সহ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নিচ্ছেন আইনগত ব্যবস্থা।
শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় মোট ২০ কিলোমিটার ইলিশের অভয়আশ্রম রয়েছে। এখানে পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যে কোন ধরনের জাল ফেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু অভিযানের শুরু থেকেই জেলেদের বড় একটা অংশ নিষেধাজ্ঞা মানছে না। অভয়আশ্রমের ভিতরে ও বাইরে সমানতালে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারী জালসহ সকল অবৈধ্য জাল ব্যবহার করে মাছ ধরছে তারা। বিক্রি করছেন প্রকাশ্যে নদীর তীরে স্থায়ী ও অস্থায়ী মাছের আড়তগুলোতে।
মাঝে মধ্যে প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ ইলিশ রক্ষায় অভিযানে পদ্মা নদীতে নামলে, আগেই সংবাদ পেয়ে মুহূর্তেই নদী থেকে নিরাপদে সড়ে যাচ্ছে তারা। আবার মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসন নদী থেকে উঠে আসলেই পুনরায় নদীতে নামছে তারা।
এর ফলে ইলিশ রক্ষা হচ্ছে না শরীয়তপুরের অভ আশ্রমে।
ইলিশ রক্ষায় জেলেদের সচেতন করার দাবি জানিয়ে নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, স্বল্প লোকবল নিয়েই তারা ইলিশ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। লোকবল সংকটের কারণে সার্বক্ষণিক নদীতে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে অভিযানের ফাঁকে ইলিশ ধরার চেষ্টা করে জেলেরা