সিটি নির্বাচন জিতে নারীদের গণপরিবহন দিতে চায় আ. লীগ, ইভিএম বুথে সেনা চায় বিএনপি
১৪-০৩-২০২০, ২০:৪৪
শফিকুল আলম
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে গণসংযোগ। ভোটারদের মন জয়ে নগরীর অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন দু'দলের প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী জানান, মেয়র নির্বাচিত হলে নারীদের জন্য আলাদা গণপরিবহন চালু করা হবে। আর বিএনপি প্রার্থী ইভিএম বুথে সেনাবাহিনী নিয়োগের দাবিসহ তুলে ধরেন এ পদ্ধতির নানা দুর্বলতার কথা। এদিকে, ২৯ মার্চ ভোট হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা দূর করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
ভোটারদের মন জয় করতে নানা আঞ্চলিক গানের মাধ্যমে প্রার্থীরা চাচ্ছেন ভোট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোট চেয়ে চষে বেড়াচ্ছেন সড়ক-মহাসড়ক আর অলিগলিতে, শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী গণসংযোগ করেন নগরীর সল্টগোলা ও সিনেমা প্যালেস এলাকায়। এসময় মেয়র নির্বাচিত হলে নারীদের জন্য আলাদা গণপরিবহন চালুর কথ জানান তিনি।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কর্মজীবী মহিলা অনেক বেড়ে গেছে। এদের গণপরিবহন অপর্যাপ্ত। এরা কিন্তু পুরুষের সঙ্গে ঠাসাঠাসি করে গাড়িতে উঠতে পারে না। নির্বাচিত হলে এই জায়গায় আমি মনোযোগ দেবো।
এর আগে সকালে নগরীর গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন বিএনপি মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন। পরে যান দক্ষিণ আগ্রাবাদ এলাকায়। এ সময় চট্টগ্রাম সফরে আসা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন। ইভিএমের ব্যালট প্যানেলে যাতে বহিরাগতরা ঢুকতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে সেনাবাহিনী নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ২৬, ২৭, ২৮ যেহেতু ছুটি, ২৯ তারিখ নির্বাচন; এক্ষেত্রে সেটাকে দুদিন পিছিয়ে ৩১ মার্চের কথা আমরা বলেছি। যাতে করে জনগণ কেন্দ্রমুখী হবে।
এদিকে, দুপুরে নগরীর সার্কিট হাউজে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিএনপি মেয়র প্রার্থীর জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়ে গেলে ইভিএম নিয়ে আর সংশয় থাকবে না। করোনার কারণে সিটি নির্বাচন পেছানোর কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ কে এম নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচন তো অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি প্রক্রিয়া, একেবারে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে আমরা এটি বন্ধ করতে চাই না।
আগামী ২৯শে মার্চ ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।