শেয়ার বাজার এশিয়ার শেয়ারবাজারে বড় দরপতন
১৩-০৩-২০২০, ১২:১৮
সময় সংবাদ

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এশিয়ার শেয়ারবাজারে শুক্রবার বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত আছে। একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, যাত্রীদের অনাগ্রহে বিমান, পর্যটন থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসায় একরকম ধস নেমেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ দিনের জন্য ইউরোপের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। কমতে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারের সূচক।
বড় জমায়েত এড়িয়ে নাগরিকরা নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন। বাতিল হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চলছে আক্রান্ত দেশগুলোতে। কভিক-নাইনটিন ভাইরাসের প্রভাবে অনেক দেশই কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্ধ করে দিতে হচ্ছে একের পর এক উৎপাদন ও বিক্রয় কেন্দ্র। এতে ক্ষতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে বড় বড় কোম্পানিগুলোকে। তাই হতাশা তৈরি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। যার প্রভাব পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারের উপর।
অস্ট্রেলিয়ার শেয়ারবাজারে কমেছে ৪১৮ দশমিক চার-শূন্য পয়েন্ট, চীনে ৪৫ দশমিক শূন্য-তিন, হংকংয়ে ৯২২ দশমিক পাঁচ-চার, ভারতের ২ হাজার ৯২৯ দশমিক দুই-ছয়, জাপানের ৮৫৬ দশমিক চার-তিন, তাইওয়ানের ৪৭১ দশমিক চার-তিন পয়েন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৩০ দিনের জন্য ইয়োরোপের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর তর তর করে নামতে শুরু করে ইউরোপের শেয়ারবাজার। এতে ইয়োরোপ শেয়ার বাজারে কমেছে অন্তত ১১০ পয়েন্ট, ইংল্যান্ডে ৬০০ পয়েন্ট, ফ্রান্সে ৬৭০ পয়েন্ট, জার্মানি ১ হাজার ৩০০ পয়েন্ট, সুইজারল্যান্ডে ১ হাজার পয়েন্ট।
স্বস্তি নেই অ্যামেরিকার দেশগুলোতেও। মেক্সিকোর শেয়ারবাজারে সূচক কমেছে ৪ হাজার ৫০০ পয়েন্ট, চিলিতে ৪ হাজার পয়েন্ট, কানাডায় ৪০ পয়েন্ট, ব্রাজিলে ২২ হাজার পয়েন্ট, যুক্তরাষ্ট্রে ২১৫ পয়েন্ট কমেছে।
পুঁজিবাজারের লাগাম টেনে ধরতে বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগকারীদের নানা সুবিধা ঘোষণা দিচ্ছে। করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই ক্ষতির পরিমাণ অনুমান করাও সম্ভব হচ্ছে না। তবে, এর লাগাম টেনে ধরা সম্ভব না হলে বিশ্ব চরম বেকারত্ব আর অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়বে যা এর আগে কখনো ঘটেনি বলে মত বিশ্লেষকদের।