বাণিজ্য সময় সর্বনিম্নে পৌঁছেছে চীনের উৎপাদন খাত
০১-০৩-২০২০, ১৬:১১
বাণিজ্য সময় ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের উৎপাদন খাতের কার্যক্রম সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, এ ভাইরাসের প্রভাব ২০০৮ সালের আর্থিক মন্দার চেয়েও করুণ হবে। করোনা ভাইরাসের প্রভাব যেন অর্থনীতিতে না পড়ে, সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে ইউরোজোন। এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসলে চীনের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
ভোক্তা খরচে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকা চীনের উৎপাদন খাতের কার্যক্রম আশঙ্কাজনকহারে কমছে। কর্মী আর কাঁচামাল সংকটে স্থবির দেশটির শিল্পখাত। কমে গেছে ভোক্তা খরচ। দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ সংকট বিবেচনা করা হচ্ছে এ ভাইরাসের সংক্রমণকে। টানা কয়েক বছর ধরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে থাকা চীনের মাত্র ৩ মাসেই এই দুদর্শা। করোনা ভাইরাসের কারণে বছরের প্রথমার্ধে দেশের আর্থিক খাত চরম ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বছরের প্রথম প্রান্তিক তো বটেই, দ্বিতীয় প্রান্তিকেও ভোগান্তি পোহাতে হবে চীনা অর্থনীতির। এই ভাইরাস কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ব্যবসায় আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। আরো কয়েক মাস এই অবস্থা চলতে থাকলে পুরো বিশ্ব অর্থনীতিই ঝুঁকির মুখে পড়বে।
অর্থনীতিতে ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে বিভিন্ন দেশ।
এখন এ ভাইরাসের প্রভাব চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে পড়েছে। পরিস্থিতি পুরো বিশ্বে প্রভাব ফেলার আগেই পদক্ষেপ নেয়া উচিত। ইউরোপের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যা প্রয়োজন তাই করবো। আর্থিক খাতই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আগে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম উৎপাদনকারক এবং শীর্ষ রফতানিকারক দেশের অবস্থানে ছিলো চীন। এ ভাইরাস আতঙ্কে গেলো সপ্তাহের পুরোটা দরপতন অব্যাহত ছিলো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর শেয়ারবাজারের বিভিন্ন সূচকে।